
ওয়াশিংটন ডিসিতে সৌদি আরবের দূতাবাসের সামনের সড়কের নামকরণ করা হয়েছে নিহত সাংবাদিক জামাল খাশোগির নামে। ছবি : রয়টার্স
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত সৌদি আরবের দূতাবাসের সামনের সড়কের নামকরণ করা হয়েছে নিহত সাংবাদিক জামাল খাশোগির নামে।
২০১৮ সালের অক্টোবরে তুরস্কে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক খাশোগি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। নড়বড়ে হয়ে পড়েছিল সৌদি আরবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক।
সেই সম্পর্ক ঠিক করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যখন সৌদি আরব সফরের পরিকল্পনা করছেন, ঠিক তখনই খুন হওয়া সে সৌদি সাংবাদিককে বিস্মৃত হতে না দেওয়ার জন্য তাঁর নামে রাস্তার নামকরণ—বলছে ওয়াশিংটনের স্থানীয় সরকার।
ওয়াশিংটন ডিসিতে সৌদি দূতাবাসের সামনের নিউ হ্যাম্পশায়ার অ্যাভিনিউ সড়কটির নতুন নাম দেওয়া হয়েছে ‘জামাল খাশোগি ওয়ে’।
বিবিসি জানায়, রাস্তার নতুন নামফলক উন্মোচনের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার কর্মীরাসহ মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যেরা এবং স্থানীয় কাউন্সিলরেরা।
এ সময় খাশোগির প্রতিষ্ঠা করা মানবাধিকার সংগঠন ‘ডেমোক্র্যাসি ফর দ্য আরব ওয়ার্ল্ড নাও’ (ডিএডব্লিউএন) এর নির্বাহী পরিচালক সারাহ লি উইটসন বলেন, ‘আমরা সেসব মানুষকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, যারা আড়ালে থাকেন। আমরা তাঁদের প্রতিদিন, প্রতি ঘণ্টায়, প্রতিমূহূর্তে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। আর সেই স্মৃতিস্মারকই হচ্ছে, এই জামাল খাশোগি ওয়ে।’
সৌদি আরবের বর্তমান শাসকের সমালোচনায় সোচ্চার ছিলেন সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি। যুক্তরাষ্ট্রের দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্টও ছিলেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে বাস করা অবস্থায় খাশোগি তাঁর তুর্কি বাগদত্তাকে বিয়ের জন্য নথি আনতে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি খুন হওয়ার পর তার লাশ আর পাওয়া যায়নি।
তাকে হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে সন্দেহ করা হয়। মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের অনুমতি দিয়েছিলেন যুবরাজ। তবে, এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন সৌদি আরবের যুবরাজ বিন সালমান।