রাশিয়ার কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি তেল কিনেছে চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ জুন ২০২২, ১৫:৫১

রাশিয়ার একটি তেলক্ষেত্র। ছবি: বিবিসি
ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর রাশিয়ার জ্বালানি খাত বড় ধাক্কার মুখে পড়ার শঙ্কা ছিলো। তবে ঘটনা ঘটেছে উল্টো। রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমার নিষেধাজ্ঞাকে কাজে লাগিয়ে রুশ প্রশাসন তেলে দাম বিশাল ছাড় দেয়। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে অনেক দেশই তাদের কাছ থেকে তেল কিনেছে। আর এই ছাড়ের সুযোগ কাজে লাগিয়ে সবচেয়ে বেশি রুশ তেল কিনেছে চীন।
এ কারণে চলতি বছরে সবচেয়ে বেশি রুশ তেল কেনার দিক থেকে সৌদি আরবকে হটিয়ে চীন সে স্থান দখল করে নিয়েছে।
আজ সোমবার (২০ জুন) সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর প্রথম দিকে দ্বিধাতেই ছিল চীন। রাশিয়া নাকি ইউক্রেনের পক্ষে তাদের সমর্থন দেওয়া প্রয়োজন- এ নিয়ে বেশ ভাবতে হয়েছে চীন সরকারকে। ইউক্রেনের পক্ষে থাকার ইঙ্গিত দিলেও আস্তে আস্তে রাশিয়ার প্রতি দেশটির কোমল মনোভাব ফুটে উঠতে থাকে।
পশ্চিমাসহ ইউরোপের অনেক দেশ যখন রাশিয়ার তেল কেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়, তখন সেই তেল কেনার ঘোষণা দেয় ভারত ও চীনের মতো কয়েকটি দেশ। চীনের সরকারি তেল আমদানি সংস্থা সাইনোপেসের মতো প্রতিষ্ঠানও তাদের কাছ থেকে তেল নিতে শুরু করে।
চীনা প্রশাসন জানিয়েছে, মে মাসে চীন বন্দর দিয়ে আট দশমিক ৪২ মিলিয়ন টন ক্রুড অয়েল আমদানি করেছে রাশিয়া থেকে। একই সময়ে সৌদি থেকে আমদানি হয়েছে সাত দশমিক ৮২ মিলিয়ন টন।
গতকাল সোমবার পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, গত মাসে ইরান থেকে দুই লাখ ৬০ হাজার ক্রুড অয়েল আমদানি করেছে চীন। রাশিয়া ও সৌদির পর এ দেশ থেকেই সবচেয়ে বেশি তেল আমদানি করেছে তারা।
ফিনল্যান্ডের প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ার (সিআরইএ) রাশিয়ার জ্বালানি রপ্তানি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে গত সপ্তাহে।
ওই প্রতিবেদনে যুদ্ধের প্রথম ১০০ দিনে জ্বালানি বেচে সব মিলিয়ে রাশিয়ার ৯৮ বিলিয়ন বা ৯ হাজার ৮০০ কোটি ডলার আয়ের তথ্য দেয়া হয়। অর্থাৎ যুদ্ধরত অবস্থায় রাশিয়া দিনে প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের জ্বালানি রপ্তানি করেছে।
রাশিয়া এই সময়ের মধ্যে জ্বালানি বিক্রি করে যা আয় করেছে, তার একটি বড় অংশ এসেছে ইউক্রেনের বন্ধুপ্রতিম ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলো থেকেই। অথচ শঙ্কা ছিল, ইউক্রেন, আমেরিকা ও পশ্চিমা দেশগুলোর আহ্বানে রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনা বন্ধ রাখবে তারা। কিন্তু ঘটনা ঘটেছে উল্টো। ইইউয়ের অনেক দেশই রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনেছে।