ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাড়তে পারে মাদক উৎপাদন : জাতিসংঘ

ডেস্ক রিপোট
প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২২, ১৪:৪৫

আফগানিস্তানের মানবিক সংকট পপি চাষ বাড়িয়ে দিতে পারে। ছবি : ইউএননিউজ
ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অবৈধ মাদকের উৎপাদন বেড়ে যেতে পারে বলে জাতিসংঘ সতর্ক করেছে। একাধিক সিন্থেটিক মাদকের কারখানা নতুন করে খুলেছে বলেও মনে করছে জাতিসংঘ। অতীতে এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যেও একই বিষয় দেখা গিয়েছিল বলে সতর্ক করেছে তারা।
এদিকে আফিম বাজারের ভবিষ্যত সংকটাপন্ন আফগানিস্তানের ভাগ্যের ওপর নির্ভর করছে।
জাতিসংঘের মাদক সংক্রান্ত সংস্থার নাম ইউনাইটেড নেশনস অফিস অন ড্রাগ অ্যান্ড ক্রাইম (ইউএনওডিসি)। আজ সোমবার (২৭ জুন) সংস্থাটি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, অতীত অভিজ্ঞতা বলছে, যেখানেই যুদ্ধ হয়েছে, সেখানেই বেআইনি মাদকের উৎপাদন লাফিয়ে বেড়েছে। ইউক্রেনকে এবিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।
এতে বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায় যুদ্ধাঞ্চলগুলো সিন্থেটিক ড্রাগ তৈরির মূল কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে।
এতে আরো বলা হয়, সংঘর্ষ পীড়িত এলাকা বৃহৎ ভোক্তা বাজারের কাছাকাছি হলে এর প্রভাব আরো বেশি হতে পারে। ইউক্রেনে ভেঙে দেয়া অ্যাম্ফিপেটেমিন ল্যাবরেটরির সংখ্যা ২০১৯ সালে ছিল ১৭টি, যা ২০২০ সালে বেড়ে হয়েছিল ৭৯ টি। বিশ্বে ২০২০ সালে জব্দ ল্যাবরেটরির এটিই সর্বোচ্চ সংখ্যা।
সংস্থাটি বলছে, যুদ্ধ অব্যাহত থাকলে সিন্থেটিক ড্রাগ তৈরির সক্ষমতা ইউক্রেনের আরো বেড়ে যাবে। কারণ যুদ্ধচলা কোনো দেশে এ ধরনের ল্যাবরেটরি বন্ধে তদারকি করা সম্ভব নয়। দুষ্কৃতীরা সেই সুযোগটাই ব্যাবহার করে।
এদিকে আফগানিস্তান প্রসঙ্গে সংস্থাটি বলছে, বিশ্বে ২০২১ সালে ৮৬ শতাংশ আফিম উৎপাদনকারী দেশ ছিল আফগানিস্তান। এই দেশটিই আফিম বাজারের ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে। দেশটির মানবিক সংকট পপি উৎপাদন বাড়িয়ে দিতে পারে, যদিও তালেবান এপ্রিলে পপি চাষ নিষিদ্ধ করেছে।
জাতিসংঘ বলছে, আফগানিস্তানে আফিম উৎপাদনের পরিবর্তন বিশ্বের সব অঞ্চলে আফিম বাজারের ওপর প্রভাব ফেলবে।
রিপোর্টে বলা হয়, বিশ্বে ২০২১ সালে ২৮ কোটি ৪০ লাখ মানুষ মাদক গ্রহণ করে। এ সংখ্যা ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী প্রতি ১৮ জনে একজন। গত ২০১০ সালের তুলনায় এ সংখ্যা ২৬ শতাংশ বেশি।
এদিকে বিশ্বে কোকেন উৎপাদনেও নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে। বিশ্বে ২০২০ সালে এক হাজার ৯৮২ টন কোকেন উৎপাদিত হয়েছে। -এএফপি ও ডয়চে ভেলে