
স্ত্রীকে পাশে নিয়ে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন বংবং। ছবি: রয়টার্স
ফিলিপাইনের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন সাড়ে তিন দশক আগে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক ফার্দিনান্দ মার্কোসের ছেলে ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র। তিনি বংবং নামেই বেশি পরিচিত।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) স্থানীয় সময় দুপুরে রাজধানী ম্যানিলার জাতীয় জাদুঘরে জাঁকজমকপূর্ণ এক অনুষ্ঠানে মার্কোস জুনিয়র শপথ নেন। এর মাধ্যমে দেশে-বিদেশে ব্যাপক সমালোচিত প্রেসিডেন্ট রদরিগো দুতের্তের মেয়াদ আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হলো।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার শপথ নেয়ার মাধ্যমে ১৯৮৬ সালে এক গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত মার্কোস পরিবারের অত্যাশ্চর্য প্রত্যাবর্তন হলো।
গত মাসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বংবং বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। নির্বাচনে তার রানিং মেট ছিলেন সদ্য সাবেক হওয়া প্রেসিডেন্ট দুতের্তের মেয়ে সারা দুতের্তে। তিনি আগেই ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন।
শপথের আগে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট দুতের্তে মালাকানাং প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে বংবংকে স্বাগত জানান। স্ত্রী ও তিন ছেলেকে সাথে নিয়ে কুচকাওয়াজ পরিদর্শনের সময় বংবং হাত নাড়েন ও মৃদু হাসেন।
নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণ উপলক্ষে ফিলিপিন্সের রাজধানীজুড়ে ১৫ হাজারের মতো নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম ভাষণে তিনি ফিলিপাইনের গণতন্ত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নির্বাচনি ম্যান্ডেট দেওয়ায় জনগণকে ধন্যবাদ জানান। ৬৪ বছর বয়সী এই নেতা এমন একটি দেশ পাচ্ছেন যা দীর্ঘ মহামারি থেকে পুনরুদ্ধারের পথে রয়েছে। এছাড়া দেশটির অর্থনীতি আকাশচুম্বী মুদ্রাস্ফীতি ও ক্রমবর্ধমান ঋণে ঢাকা।
মার্কোস জুনিয়র প্রয়াত স্বৈরশাসক ফার্দিনান্দ মার্কোসের ছেলে যিনি দুই দশকের মতো ফিলিপাইন শাসন করেছেন। তিনি তার উদ্বোধনী ভাষণে তার বাবার প্রতি শ্রদ্ধা জানান। -বিবিসি