ছবি- সংগৃহিত
গণতন্ত্রের দাবিতে রাস্তায় নেমে এসেছে আফ্রিকার দেশ সুদানের লাখো মানুষ। বিক্ষোভে পুলিশের চালানো গুলিতে অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছে। এরমধ্যে ৭ জনকেই বুকে ও মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
বিক্ষোভ থামাতে গত বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) বিক্ষোভকারীদের উপরে গুলি চালিয়েছে দেশটির পুলিশ।
গত বছরের অক্টোবরে সামরিক অভ্যুত্থানের পর এ ধরনের আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি চালানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবারের গুলির মধ্য দিয়ে এ নিয়ে দেশটিতে মোট ১১১ গণতন্ত্রপন্থি নিহত হলো। এ খবর দিয়েছে মিডল ইস্ট আই।
রাজধানী খার্তুম, ওমদুরমানসহ বেশ কয়েকটি শহরের রাজপথে হাজার হাজার মানুষ আন্দোলন করছেন। সেনাশাসকের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন তারা। টায়ার জ্বালিয়ে ও পাথর দিয়ে অবরোধ করছেন সড়ক।
বৃহস্পতিবার খার্তুমে বিশাল র্যালি নিয়ে প্রেসিডেন্টের বাসভবন ঘেরাওয়ের উদ্দেশ্যে এগিয়ে যান আন্দোলনকারীরা। এ সময়ই নির্বিচারে গুলি চলে তাদের উপরে। নিহতদের মধ্যে একজন কিশোরও রয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ।
মিডল ইস্ট আই জানিয়েছে, আহতদের যে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেখানেও টিয়ার গ্যাস হামলার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আন্দোলনকারীরা রাজধানীতে জরো হওয়ার চেষ্টা করছেন। তাদের থামাতে রাজধানীর সংযোগ সেতুগুলোতে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। সেখানেও সংঘাত সৃষ্টি হয়েছে।
সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুতদের দলগুলো এক হয়ে ‘ফোর্সেস ফর ফ্রিডম এন্ড চেঞ্জ’ নামের একটি সংগঠন তৈরি করেছে। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশের ক্ষমতায় ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে চায়। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, ক্ষমতা দখল করে সেনা শাসনের অবসান ঘটানো। বৃহস্পতিবারের সমাবেশ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়, প্রয়োজনে আমরা মরে যাব কিন্তু সেনাবাহিনীকে আমাদের শাসন করতে দেব না।
১৯৮৯ সালের ৩০ জুন এক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সুদানের ক্ষমতায় এসেছিল স্বৈরশাসক ওমর আল-বশির। এরপর দীর্ঘ তিন দশক তিনি সুদানের শাসক ছিলেন। সেই দিনকে মাথায় রেখেই ৩০ জুন দেশজুড়ে আন্দোলন শুরু করে বিক্ষোভকারীরা।