ছবি- সংগৃহীত
উজবেকিস্তানের কারাকালপাকস্তানে অস্থিরতায় ১৮ জন নিহত ও ২৪৩ জন আহত হয়েছে। প্রদেশটির স্বায়ত্তশাসন হ্রাস করার পরিকল্পনা নিয়ে গত সপ্তাহে অস্তিরতা শুরু হয় বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
গতকাল সোমবার (৪ জুলাই) উজবেক কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
দেশটির ন্যাশনাল গার্ডের প্রেস অফিসে ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত শুক্রবার (১ জুলাই) বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার সময় নিরাপত্তা বাহিনী ৫১৬ জনকে আটক করেছিল। কিন্তু এখন তাদের অনেককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
গত শনিবার (২ জুলাই) প্রেসিডেন্ট শাভকাত মির্জিয়েভ কারাকালপাকস্তানের স্বায়ত্তশাসন এবং প্রদেশটির বিচ্ছিন্ন হওয়ার অধিকার সংক্রান্ত সংবিধানের অনুচ্ছেদটি সংশোধনের পরিকল্পনা বাতিলের করেছেন। একই সঙ্গে তিনি উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশটিতে মাসব্যাপী জরুরি অবস্থাও ঘোষণা করেন।
সরকারের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভকারীরা গত শুক্রবার (১ জুলাই) প্রাদেশিক রাজধানী নুকুসে মিছিল বের করে এবং স্থানীয় সরকারি ভবন দখলের চেষ্টা করে। ৩৪ মিলিয়ন জনসংখ্যার মধ্য এশিয়ার দেশটিতে প্রায় দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতার সূত্রপাত ঘটেছে।
কারাকালপাকস্তান আরাল সাগরের তীরে অবস্থিত, যা কয়েক দশক ধরে পরিবেশগত বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কারাকালপাকসরা হলো জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠী, যাদের ভাষা উজবেকের চেয়ে বেশি কাজাখের সঙ্গে মিল রয়েছে।
গতকাল সোমবার (৪ জুলাই) মির্জিয়েভ কারাকালপাক প্রবাসীদের বৃহত্তম আবাসস্থল কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট টোকায়েভের সঙ্গে কথা বলেছেন। টোকায়েভের কার্যালয় জানিয়েছে, কারাকালপাকস্তানে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে তিনি তাসখন্দের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি।
সূত্র : এনডিটিভি