যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিসের ক্ষমতায় থাকা নিয়ে শঙ্কা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২২, ০৯:৪৯

যুক্তরাজ্যে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ছবি: বিবিসি
যুক্তরাজ্যে বরিস জনসন সরকারের প্রভাবশালী ও ঊর্ধ্বতন দুইজন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। তাদের পদত্যাগের পর প্রধানমন্ত্রী জনসনের ওপর বড় ধরনের চাপ তৈরি হয়েছে। দুই মন্ত্রীর পদত্যাগের পর একটি জরিপ চালিয়েছে জরিপ সংস্থা ইউগভ। এতে অংশগ্রহণকারীদের ৬৯ শতাংশই বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বরিস জনসনের পদত্যাগ করা উচিত।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যায় সরকারের অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ আকস্মিকভাবে তাদের পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। তাদের এই পদত্যাগের ফলে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পাশাপাশি কনসারভেটিভ সরকারের সঙ্কট আরো গভীর হলো। ২০১৯ সালে জনসনকে যারা ভোট দিয়েছেন তাদের মধ্যেও ৫৪ শতাংশ এখন তার পদত্যাগ চায়। পদত্যাগ না করে বরিস জনসনের উচিত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাওয়া। এমন মত দিয়েছেন জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ১৮ শতাংশ। একইসাথে জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৬৮ শতাংশ অবশ্য মনে করছেন, বরিস জনসন পদত্যাগ করবেন না।
বিবিসির সংবাদদাতারা বলছেন, জনসন এর আগে এতো বড়ো বিপদের মুখে কখনো পড়েননি। এখন এই সংকট কাটিয়ে তিনি ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবেন কিনা সেটা বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
যৌন অসদাচরণের অভিযোগে অভিযুক্ত একজন এমপি ক্রিস পিঞ্চারকে তার সরকারে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জনসন দুঃখ প্রকাশ করার পর এই দুই মন্ত্রী তাদের পদ থেকে সরে দাঁড়ান।
মি. পিঞ্চারের বিরুদ্ধে যৌন অসদাচরণের অভিযোগ ওঠার পর গত সপ্তাহে কনসারভেটিভ পার্টি থেকে তার এমপি পদ বাতিল করা হয়। প্রধানমন্ত্রী জনসন স্বীকার করেন এমন একজন ব্যক্তি যে সরকারি চাকরির জন্য যোগ্য নন সেটা বুঝতে না পেরে তিনি ভুল করেছেন।
এর আগেও বরিস জনসনের বিরুদ্ধে কোভিড মহামারির বিধিনিষেধ ভঙ্গ করে পার্টি আয়োজনের অভিযোগ ওঠেছে। এজন্য পুলিশ তাকে জরিমানাও করেছে। এই দুই মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের কাছে লেখা পদত্যাগ পত্রে সরকার পরিচালনার মান বজায় রাখতে জনসনের ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।