
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিস্যেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান
মঙ্গলবার ইরানের প্রেসিডেন্ট
ইব্রাহিম রাইসি এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে ইরানের রাজধানী তেহরানে
বৈঠক করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিস্যেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।
ইরান যাওয়ার আগ মুহূর্তে এরদোগান
বলে গিয়েছিলেন, যদি ফিনল্যান্ড-সুইডেন তুরস্কের দাবি না মানে তাহলে তাদের ন্যাটোতে
যোগ দেওয়ার অনুমোদন দেবে না তুরস্ক।
বুধবার (২০ জুলাই) ইরানে ফিরে
সেই একই হুমকি দিয়েছেন এরদোয়ান। তিনি পুনরায় বলেছেন, তুরস্কের শর্ত পূরণ না হলে কোনোভাবেই
ফিনল্যান্ড-সুইডেন ন্যাটোর সদস্যপদ পাবে না।
তাছাড়া স্ক্যান্ডিনেভিয়ান অঞ্চলের
দেশ ও ইউরোপের ন্যাটোভুক্ত বড় কিছু দেশের কঠোর সমালোচনা করেছেন এরদোয়ান। তিনি বলেছেন,
এসব দেশ জঙ্গিবাদের বড় মদদদাতা।
তাদের জঙ্গিবাদ নিয়ে কথা বলার
আর কোনো অধিকার নেই বলেও মন্তব্য করেন এরদোয়ান।
তিনি বলেন, আমরা খোলাখুলিভাবে
এবং পরিস্কারভাবে ফিনল্যান্ড-সুইডেনকে আমাদের শর্তের কথা জানিয়েছি। তখন ন্যাটো সেক্রেটারি
জেনারেলও উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন
আমরা পিকেকে/পিওয়াইডি/ওয়াইপিজে এবং ফেতোকে অফিসিয়ালি জঙ্গি হিসেবে বিবেচনা করি এবং
তাদের এসব সংগঠনের সদস্যদের ফেরত দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, তারা তাদের
সংসদেও জঙ্গিদের স্থান দেয়। যদি ফিনল্যান্ড-সুইডেন
তাদের কথা না রাখে তাহলে ন্যাটোতে তাদের বিষয়টি আমাদের ইতিবাচক হিসেবে দেখা সম্ভব না।
এরদোয়ান এরপর ইউরোপের দেশগুলোর
সমালোচনা করে বলেন, স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলো বর্তমানে জঙ্গিদের আতুরঘর। এরমধ্যে রয়েছে
নরওয়ে, জার্মানি, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস এবং যুক্তরাজ্য।
বর্তমানে জঙ্গিবাদ নিয়ে কথা
বলার কোনো অধিকার পশ্চিমাদের নেই, যোগ করেন এরদোয়ান।