ড্রোন হামলায় আল কায়েদা নেতা জাওয়াহিরি নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২২, ০৮:৫৮

আল কায়েদা নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরি। ছবি: রয়টার্স
আল কায়েদা নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরি যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার (১ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হোয়াইট হাউস থেকে এক বক্তৃতায় এ তথ্য জানান।
ওসামা বিন লাদেন নিহত হওয়ার পর আল কায়েদার ওপর এটিই বড় আঘাত। লাদেনের মৃত্যুর ১১ বছর পরেও এই জঙ্গিগোষ্ঠী আজও বেশ সক্রিয়। জাওয়াহিরির জন্যই তা সম্ভব হয়েছে। তিনি এক সময় লাদেনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক হিসেবে কাজ করতেন।
জাওয়াহিরি কাবুলের একটি সেফ হাউসে আশ্রয় নেওয়ার সময় দুটি হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। গত শনিবার (৩০ জুলাই) তার ওপর ড্রোন হামলা চালানো হয়। হামলার সময় কাবুলে কোনো আমেরিকান কর্মী ছিল না।
ঊর্ধ্বতন হাক্কানি তালেবান ব্যক্তিরা সেই এলাকায় জাওয়াহিরির উপস্থিতি সম্পর্কে জানতেন। এক কর্মকর্তা সোমবার বলেছেন, ‘দোহা চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন’ এবং শনিবারের সফল ধর্মঘটের পর তিনি লুকানোর জন্য পদক্ষেপ নেন। তিনি নিরাপদ বাড়িতেও প্রবেশ করেন। তবে তার পরিবারের সদস্যদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি। তারা অক্ষত রয়েছেন। শনিবারের হামলার আগে যুক্তরাষ্ট্র তালেবান কর্মকর্তাদের সতর্ক করেনি।
জো বাইডেন বলেন, জাওয়াহিরি ৯/১১ এর পরিকল্পনার সাথে গভীরভাবে জড়িত ছিলেন। আমেরিকার মাটিতে দুই হাজার ৯৭৭ জনকে জনকে হত্যাকারী হামলার জন্য তিনি সবচেয়ে দায়ী। কয়েক দশক ধরে, তিনি আমেরিকানদের বিরুদ্ধে হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘আমার নিশানা ছিল নির্ভুল। যা তাকে যুদ্ধক্ষেত্র একবারের জন্য সরিয়ে দিয়েছে।
একের পর এক টুইট বার্তায় তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, ‘৩১ জুলাই কাবুল শহরের শেরপুর এলাকায় একটি আবাসিক বাড়িতে বিমান হামলা চালানো হয়।’
তিনি বলেন, ঘটনার প্রকৃতি প্রথমে স্পষ্ট ছিল না। তবে ইসলামিক এমিরাতের নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থা ঘটনাটি তদন্ত করেছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে হামলাটি একটি আমেরিকান ড্রোন দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল।
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার এবং তালেবানের দেশ দখলের এক বছর পর জাওয়াহিরির হত্যার ঘটনা ঘটলো। কাবুলের পতনের সময় বাইডেন বলেছিলেন সন্ত্রাসীদের লক্ষ্যবস্তু করার জন্য মার্কিন সামরিক সক্ষমতা অব্যাহত থাকবে।