
গত শুক্রবার থেকে ফিলিস্তিন চারশর মতো রকেট ও মর্টার নিক্ষেপ করেছে। ছবি: সংগৃহীত।
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় ৩২ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ছয়টি শিশু এবং প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদের (পিআইজে) নেতা খালেদ মনসুর ও তাইসির জাবারিসহ গোষ্ঠীর আরো বেশ কয়েকজন সদস্য রয়েছেন।
আজ রবিবার (৭ আগস্ট) ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছেন বিবিসি।
ইসরায়েলি এক কর্মকর্তা বলছেন, ইসলামিক জিহাদ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল। গত শুক্রবার (৫ আগস্ট) থেকে ফিলিস্তিন চারশ’র মতো রকেট ও মর্টার নিক্ষেপ করেছে।
ইসরায়েল বলছে, পিআইজের তাৎক্ষণিক হুমকির কারণে তারা তাদের এই অভিযান শুরু করেছে। ২০২১ সালের মে মাসে ১১ দিন ধরে চলা সংঘর্ষের পর এটিই ইসরায়েল এবং গাজার মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর সংঘাত। ওই বছর ২০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি এবং বারো জনের মতো ইসরায়েলি নিহত হয়েছিল।
ইসরায়েল এই চলমান অভিযানের নাম দিয়েছে ‘ব্রেকিং ডন’ এবং এক সপ্তাহ ধরে এই অভিযান চলতে পারে বলে সতর্ক করেছে।
ইসরায়েল বলছে, গাজায় বিমান হামলার পাশাপাশি, অধিকৃত পশ্চিম তীরে অভিযানে পিআইজের ১৯ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গাজায় বিমান হামলার মধ্যেই শনিবার ইসরায়েলি শহরগুলিতেও অনবরত ক্ষেপণাস্ত্রের সতর্কতা সাইরেন বাজতে শোনা গেছে।
গাজায় নতুন করে ফের সহিংসতায় ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুর এবং ২০০ জনের আহত হওয়ার ঘটনায় ইসরায়েলি আগ্রাসনকে দায়ী করেছে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যদিও হামাসের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো রকেট ছোড়া হয়নি বলে মনে হচ্ছে।
ইসলামিক জিহাদের সাথে হামাসের মতাদর্শিক মিল রয়েছে এবং প্রায়শই গোষ্ঠীটির সাথে হামাস তাদের কর্মকাণ্ড সমন্বয় করে থাকে। হামাসকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বিমান হামলারও কোনো খবর নেই। হামাসের উপরে হামলা সহিংসতা আরো বৃদ্ধি করবে।
গত শুক্রবার রাতে হামাস জোরালো এক বিবৃতি জারি করে বলেছে যে, ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে ‘প্রতিরোধী গোষ্ঠীগুলো’ ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। কিন্তু হামাস যেহেতু গাজার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে তাই সম্ভবত বাস্তবসম্মত কোনো বিবেচনা থেকে এখন আরও বেশি সংশ্লিষ্ট হওয়া থেকে বিরত রয়েছে গোষ্ঠীটি।