পরমাণু সমঝোতা আবার কার্যকর করার বিষয়টি ইরানের চেয়ে ইউরোপের বেশি প্রয়োজন কিন্তু ভিয়েনা সংলাপে ইউরোপীয় দেশগুলোকে বলির পাঠা বানাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। লেবাননের আল-মানার টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মোহাম্মাদ মারান্দি এ মন্তব্য করেন।

অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় পাশ্চাত্যের সাথে ইরানের গত প্রায় দেড় বছরের আলোচনায় তেহরানের পক্ষে উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন মোহাম্মাদ মারান্দি। 

তিনি বলেন, আসন্ন শীতকাল সামনে রেখে ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রচণ্ডভাবে জ্বালানির প্রয়োজন। কাজেই জ্বালানির ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে ইরানের পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের চুক্তি তেহরানের চেয়ে ইউরোপীয়দেরই বেশি প্রয়োজন। কাজেই চুক্তি স্বাক্ষরে যত বেশি সময় নষ্ট হবে পশ্চিমা দেশগুলো তত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

প্রসঙ্গত, পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের আলোচনা বর্তমানে একটি চূড়ান্ত চুক্তির খসড়ায় এসে আটকে গেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ সংক্রান্ত যে খসড়া তৈরি করেছে তাতে ইরান ও আমেরিকা উভয়ের পক্ষ থেকে কিছু পর্যবেক্ষণ রয়েছে। 

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, যতক্ষণ এই চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে শক্তিশালী গ্যারান্টি দেওয়া না হবে ততক্ষণ তাতে সই করবে না তেহরান।

ইরানের পরমাণু আলোচক দলের উপদেষ্টা আরো আল-মানরকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আরা বলেন, ইউরোপের জ্বালানি চাহিদার কথা মাথায় রেখে যুক্তরাষ্ট্র তার অন্যায় দাবি ইরানের পাশাপাশি ইউরোপের ওপরও চাপিয়ে দিতে চায়। 

তিনি বলেন, আলোচনায় ইউরোপীয় দেশগুলোর দুর্বল অবস্থান দেখে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে যে, এসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের মুখের ওপর কোনো কথা বলতে পারে না। পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবিত হলে ইউরোপে পক্ষ থেকে দেওয়া কোনো গ্যারান্টিতে আস্থা রাখবে না ইরান। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র চুক্তিটি বাতিল করে দিলে ইউরোপীয়দের করার কিছু থাকবে না।

সূত্র: রেডিও তেহরান