Logo
×

Follow Us

আন্তর্জাতিক

তাইওয়ানকে ১১০ কোটি ডলারের অস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২:৪৬

তাইওয়ানকে ১১০ কোটি ডলারের অস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ফাইল ছবি

তাইওয়ানের কাছে ১১০ কোটি ডলারের প্রতিরক্ষামূলক মিসাইল ও রাডার সিস্টেম বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন সরকার। দ্বীপরাষ্ট্রটিকে ঘিরে চীনের সামরিক মহড়ার মাঝেই শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) এই ঘোষণা দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র এএফপি ও বিবিসিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রস্তাবিত এই অস্ত্র প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে ৬৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার মূল্যের আরলি রাডার ওয়ার্নিং সিস্টেম এবং ৬০টি হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র, যেগুলোর সম্মিলিত বাজারমূল্য ৩৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার।

শত্রুপক্ষ থেকে যদি কোনো ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়, সেক্ষেত্রে তা ছোড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরলি রাডার ওয়ার্নিং সিস্টেমের মাধ্যমে তার সংকেত পাওয়া যাবে।

যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি গত মাসের শুরুতে তাইওয়ান সফরে গিয়েছিলেন। সেই সময়েই অস্ত্র বিক্রি সংক্রান্ত প্রাথমিক আলোচনা হয়েছিল স্বায়ত্তশাসিত এই দ্বীপ ভূখণ্ডের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন ও পেলোসির মধ্যে।

শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের মধ্য দিয়ে এই বিক্রয় চুক্তি চুড়ান্ত হলো। মন্ত্রণালয়ের ওই মুখপাত্র এএফপিকে বলেন, ‘আমরা এই প্যাকেজ বিক্রির চুড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছি। কারণ, চীন-তাইওয়ানের মধ্যে উত্তেজনা যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, তাইওয়ানের নিজস্ব নিরাপত্তারর জন্যই এখন এই প্যাকেজ জরুরি।’

সম্প্রতি সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে হলেও তাইওয়ান দখলের হুমকি দিয়েছে চীন। ইতোমধ্যেই দীপটির চারপাশে জোরালো তৎপরতায় সামরিক মহড়াও চালাচ্ছে দেশটি। অনির্দিষ্টকালের এই সামরিক মহড়ার মাঝেই মিসাইলসহ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম দেশটির কাছে বিক্রির ঘোষণা দিলো মার্কিন সরকার।

উল্লেখ্য, তাইওয়ান দ্বীপের অবস্থান জাপানের রিউকিউ দ্বীপপুঞ্জের ঠিক পশ্চিমেই। প্রশান্ত মহাসাগর, দক্ষিণ চীন সাগর ও লুজন খাড়ি ছাড়াও তাইওয়ান খাড়ি ও পূর্ব চীন সাগর বেষ্টিত দীপটিকে চীন নিজেদের দেশের একটি অংশ মনে করে।

১৯৪০ সালের গৃহযুদ্ধে চীন থেকে বিচ্ছিন্ন হয় তাইওয়ান। তারপর থেকে তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী রাজনীতিকরা নিজেদের স্বাধীন ও সার্বভৌম বলে দাবি করে আসলেও চীন এই দ্বীপ ভূখণ্ডকে এখনও নিজেদের অংশ বলে দাবি করে।

৩৬ হাজার ১৯৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই দ্বীপ ভূখণ্ডের রয়েছে নিজস্ব সংবিধান, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতৃত্ব এবং প্রায় ৩ লাখ সক্রিয় সেনা সদস্যের একটি সেনাবাহিনী।

এখন পর্যন্ত অবশ্য খুবই অল্প কয়েকটি দেশ তাইওয়ানকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্ক থাকলেও তাইওয়ানে এখন পর্যন্ত নিজেদের কোনো দূতাবাস খোলেনি দেশটি।

দীপটিকে ঘিরে বাণিজ্য সম্প্রসারণে তাইওয়ানের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক বিষয়ক নতুন পদক্ষেপ হিসেবে ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনোমিক ফ্রেমওয়ার্ক (আইপিইএফ) ঘোষণা করেছে মার্কিন সরকার। যেটির কঠোর বিরোধিতা করে চীনা সরকার। পরে বিষয়টি নিয়ে শক্তিশালী দুটি দেশের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ফলশ্রুতিতে সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে হলেও তাইওয়ান দখলের হুমকিও দিয়েছে চীন। সূত্র : বিবিসি

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫