রাশিয়ার সাথে যুক্ত হওয়ার পক্ষে ইউক্রেনের ৪ অঞ্চল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১:৪৬

পাঁচ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত গণভোটের ব্যালট পেপারগুলো গতকাল মঙ্গলবার গণনা করা হয়। ছবি: রেডিও তেহরান
ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলে অনুষ্ঠিত গণভোটে সেসব অঞ্চলের জনগণ রুশ ফেডারেশনে যুক্ত হওয়ার প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন ঘোষণা করেছেন বলে নির্বাচনের ফলাফলে ঘোষণা করা হয়েছে। রাশিয়া অধিকৃত পূর্বাঞ্চলীয় দোনেস্ক ও লুহানস্ক এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসন ও জাপোরিজ্জিয়ায় গত কয়েকদিন ধরে এ গণভোট অনুষ্ঠিত হয়।
গতকাল মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করে এসব অঞ্চলের রুশ-নিয়োগকৃত সরকারগুলো।
খেরসনে মস্কো-নিয়ন্ত্রিত আঞ্চলিক প্রশাসন ঘোষণা করে, সব ভোট গণনা শেষে দেখা যাচ্ছে ৮৭.০৫ শতাংশ ভোটার রুশ ফেডারেশনে যুক্ত হওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছেন। লুহানস্কের সব ভোট গণনা শেষে ঘোষণা করা হয়েছে, সেখানকার ৯৮ শতাংশ মানুষ রুশ ফেডারেশনে যুক্ত হতে চান। দোনেস্ক অঞ্চলে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৮২শতাংশ ভোট গণনা করা হয় এবং গণনাকৃত ভোটে ওই অঞ্চলের ৯৯.০৬ শতাংশ ভোটার রাশিয়ায় যুক্ত হওয়ার পক্ষে তাদের রায় প্রদান করেছেন। অন্যদিকে জাপোরিজ্জিয়ায় শতভাগ ভোট গণনা শেষে ৯৩.১১ শতাংশ ভোটার জানিয়েছেন তারা ইউক্রেন ছেড়ে রাশিয়ায় যুক্ত হতে চান।
দোনেস্ক অঞ্চলের রুশ-সমর্থিত প্রশাসনের প্রধান ডেনিস পুশিলিন বলেছেন, এখন রাশিয়ার পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে অনুমোদনের পর প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ডিক্রি জারি করে এই চার অঞ্চলকে আনুষ্ঠানিকভাবে রুশ ফেডারেশনে অন্তর্ভুক্ত করে নেবেন। ২০১৪ সালে একই প্রক্রিয়ায় ইউক্রেনের সাবেক ক্রিমিয়া প্রজাতন্ত্র রাশিয়ায় যুক্ত হয়।
রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী দিমিত্রি মেদভেদেভ ইউক্রেনের চার প্রজাতন্ত্রের গণভোটের ফলাফল ঘোষিত হওয়ার পরপরই এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, “নিজেদের দেশে আপনাদের স্বাগতম!” দোনেস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরোজ্জিয়া এই চার অঞ্চল মিলে ইউক্রেনের শতকরা প্রায় ১৫ ভাগ ভূমি গঠিত হয়েছে।
তবে ইউক্রেনের বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর রুশ অধিকৃত ওই চার অঞ্চলের মূল অধিবাসীদের শতকরা ৮০ ভাগ ঘরবাড়ি ছেড়ে ইউক্রেনের অন্যান্য অঞ্চলে চলে গেছে। ফলে গত শুক্র (২৪ সেপ্টেম্বর) থেকে গতকাল মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত অনুষ্ঠিত গণভোটে এসব অঞ্চলের মূল অধিবাসীদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়নি।
সূত্র: রেডিও তেহরান