Logo
×

Follow Us

আন্তর্জাতিক

প্রতিশোধের দাবিতে ফুঁসছে রুশরা

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২২, ১৭:৪৬

প্রতিশোধের দাবিতে ফুঁসছে রুশরা

ক্রিমিয়া-রাশিয়াকে সংযুক্তকারী কার্চ ব্রিজে বিস্ফোরণ।ফাইল ছবি

ক্রিমিয়া সেতুতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষুব্ধ রুশ জাতীয়তাবাদীরা। শনিবার সেতুটিতে হামলার কয়েক ঘণ্টার মাথায় এ ঘটনায় মস্কোর তরফে প্রতিশোধ নেওয়ার দাবি তুলতে শুরু করেন তারা। আজ রবিবার (৯ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।

রাশিয়ার কট্টরপন্থী সামরিক ব্লগার এবং দেশটির কর্মকর্তাদের তরফে এ ঘটনায় মস্কোকে অবিলম্বে জোরালো প্রতিক্রিয়া দেখানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।

গত শনিবারের (৮ অক্টোবর) ঘটনায় পুতিন প্রশাসনকে ‘অত্যন্ত কঠোর’ প্রতিক্রিয়া দেখানোর আহ্বান জানিয়ে একজন বলেছেন, এর অন্যথা হলে সেটি আদতে ক্রেমলিনের দুর্বলতাকেই সামনে নিয়ে আসবে।

কোনো কোনো ভাষ্যকার ইউক্রেনে রাশিয়ার সিরিজ ব্যর্থতার ধারাবাহিকতায় ক্রিমিয়া সেতুতে বিস্ফোরণকে ব্যক্তিগতভাবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য অপমানজনক হিসেবে উল্লেখ করছেন। কেননা, ২০১৮ সালে পুতিন নিজেই এটি উদ্বোধন করেছিলেন।

কিছু মিডিয়া ভাষ্যকার দাবি তুলেছেন, মস্কো যেন ইউক্রেনের বিদ্যুৎ অবকাঠামো গুঁড়িয়ে দেয। একইসঙ্গে পশ্চিমা অস্ত্র আমদানিতে ব্যবহৃত দেশটির পরিবহন ব্যবস্থাও যেন ধ্বংস করে দেওয়া হয়।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম আরটি-র একজন যুদ্ধ বিষয়ক সংবাদদাতা ইভজেনি পডডুবনি। তার মতে, ইউক্রেনের নেতৃত্বে কেউই এখন আর রাশিয়াকে ভয় পায় না। আরটি-র টেলিগ্রাম চ্যানেলে তিনি লিখেছেন, ‘শত্রু ভয় পাওয়া বন্ধ করেছে। এই পরিস্থিতি অবিলম্বে সংশোধন করা দরকার।’

ইভজেনি পডডুবনি লিখেছেন, ‘ফর্মেশনের কমান্ডার, গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান, কিয়েভের অপরাধমূলক শাসনের রাজনীতিকরা শান্তিতে ঘুমান। কোনো মাথাব্যাথা ছাড়াই ভালো মেজাজে জেগে উঠুন, অপরাধের জন্য শাস্তির অনিবার্যতার অনুভূতি ছাড়াই।’

রুশ ট্যাবলয়েড কমসোমলস্কায়া প্রাভদা-এর একজন যুদ্ধ বিষয়ক সংবাদদাতা আলেকজান্ডার কোটস। টেলিগ্রামে তিনি লিখেছেন, দক্ষিণ ইউক্রেনের খেরসন অঞ্চলে ভূখণ্ড ধরে রাখা এমনিতেই মস্কোর জন্য সংকটপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এর মধ্যেই ক্রিমিয়া সেতু নিষ্ক্রিয় করে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এটি হয়তো ক্রিমিয়াতে ভবিষ্যৎ হামলার একটি পূর্বাভাস।

ক্রিমিয়া সেতুতে হামলার ঘটনায় এখনো পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে দায় স্বীকার করেনি ইউক্রেন। তবে দেশটির যেসব কর্মকর্তা অতীতে এই ব্রিজটিকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার কথা বলেছিলেন তারা অবশ্য শনিবারের ঘটনায় নিজেদের উচ্ছ্বাস ছেপে রাখতে পারেননি।

টুইটারে দেওয়া পোস্টে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের সহযোগী মিখাইলো পোডোলিয়াক বলেছেন, ‘ক্রিমিয়া সেতু দিয়ে শুরু। অবৈধ সবকিছু ধ্বংস করতে হবে, চুরি যাওয়া সবকিছু ইউক্রেনকে ফেরত দিতে হবে, রাশিয়ার দখলে থাকা সবকিছু তাদের ছাড়তে হবে।’

কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেতুটিতে ভয়াবহ এই বিস্ফোরণকে রাশিয়ার জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবে দেখছেন গ্রিনউইচ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিটাইম সিকিউরিটির অধ্যাপক ক্রিস বেল্লামি। সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘সেতুটি ক্রিমিয়ায় রুশ বাহিনীর জন্য রশদ সরবরাহের একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ। এটি শুধু রুশ সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্যদের দিয়েই নয়, বরং প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ব্যক্তিগত গার্ড দিয়েও ব্যাপকভাবে সুরক্ষিত ছিল। এটি অবিশ্বাস্যভাবে সফল হামলা। ধরে নিচ্ছি ইউক্রেনই এই হামলা চালিয়েছে।’

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫