সন্ত্রাসে অর্থায়নের কালো তালিকায় মিয়ানমার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২২, ১৩:৫৪

এফএটিএফের সম্মেলন থেকে তোলা ছবি। ছবি: সংগৃহীত
চার বছর পর মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন বিষয়ক নজরদারি সংস্থা ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ) এর ধূসর তালিকা থেকে বাদ পড়েছে পাকিস্তান। আর কালো তালিকাভুক্ত হয়েছে মিয়ানমার। গতকাল শুক্রবার (২১ অক্টোবর) প্যারিসে এক সভায় সংস্থাটি এই ঘোষণা দেয়।
সংস্থাটি জানায়, পাকিস্তান মুদ্রাপাচার প্রতিরোধ এবং বিশেষ করে সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন বন্ধে তার কার্যক্রম জোরদার করেছে এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ২০১৮ সালে যেসব ঘাটতি দেখা গিয়েছিল, সেগুলোও ভালোভাবে মোকাবিলা করা শুরু করেছে ইসলামাবাদ। সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন বন্ধে এফএটিএফের পক্ষ থেকে যেসব পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল, সেগুলোর ফলাফলও সন্তোষজনক পাওয়া গেছে। এ কারণে এফএটিএফ মনে করছে, পাকিস্তানকে আর নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার প্রয়োজন নেই।
এফএটিএফ আরো জানায়, ২০১৮ সালে পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাভুক্ত করার পর দেশটিকে ৩৪টি পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছিল এফএটিএফ। এসবের মধ্যে ২৭টি ছিল সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন বন্ধ এবং সাতটি মুদ্রাপাচার সম্পর্কিত।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমার এফএটিএফের উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ অধিক্ষেত্রে প্রবেশ করেছে। যা ‘ব্ল্যাক লিস্ট’ হিসেবে উল্লেখিত। এফএটিএফ ব্ল্যাকলিস্ট সাধারণত কোনো কাজের জন্য উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ বিচারব্যবস্থা, দুর্বল এন্টি মানি লন্ডারিং, সন্ত্রাসবিরোধী কাঠামোগত নিয়ন্ত্রণের দেশগুলোকে চিহ্নিত করে।
আন্তর্জাতিক মঞ্চের কাছে নেপিদোয়ের উপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপানোর আহ্বানও জানিয়েছে সংস্থাটি। তবে মিয়ানমারের ত্রাণ ও মানবিক কাজকর্ম চালাতে আর্থিক অনুদান চালিয়ে যাওয়ার আবেদন জানিয়েছে এফএটিএফ। সন্ত্রাসবাদীদের আর্থিক মদদ বন্ধ করার বিষয়ে বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছিল মিয়ানমারকে।
২০২০ সালে দেশটির সরকার প্রতিশ্রুতি দেয়, সমস্ত শর্ত পূরণে তারা একটি অ্যাকশন প্লান তৈরি করবে। কিন্তু সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে সেই মেয়াদ পেরিয়ে গেলেও আদতে কোনও কাজ হয়নি। চলতি বছরের জুন মাসে এই বিষয়ে নেপিদোকে সতর্ক করা হয়। বলা হয়, অক্টোবরের মধ্যে শর্ত পূরণ করতে। কিন্তু তা না হওয়ায় মায়ানমারকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।