যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমান প্রেসিডেন্টের দুই বছর মেয়াদের পর প্রথা অনুযায়ী গত ৮ নভেম্বর মিডটার্ম বা মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রকাশিত ফল অনুসারে সংসদের নিম্ন কক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেনটিটিভের নিয়ন্ত্রণ পেতে যাচ্ছে রিপাবলিকানরা। যদিও রিপাবলিকানদের জয়ের ব্যবধান খুবই কম। তবে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল এগিয়ে থাকলেও তিনি নিজে পিছিয়ে রয়েছেন।

রিপাবলিকানরা ভেবেছিলেন এই মধ্যমেয়াদী নির্বাচনে তারা একটা ‘রেড ওয়েভ’ সৃষ্টি করতে পারবেন। তবে তেমনটা হয়নি। যেটা হয়েছে সেটা বিশ্লেষকদের ভাষায় একটা ‘হালকা লাল তরঙ্গ’।

কিন্তু পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ সিনেটেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে। সিনেটের চূড়ান্ত নিয়ন্ত্রণ কোন দলের হাতে যাবে তা এখনো নিশ্চিত নয়।

এই নির্বাচনের আগে শোনা যাচ্ছিল রিপাবলিকানরা ভাল করলেই ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করবেন আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হবেন। 

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ফলাফল ট্রাম্পের জন্য খুব সুখবর নয়। তিনি নিজে যাদের প্রার্থী হিসেবে ব্যক্তিগতভাবে যাদের বাছাই করেছিলেন তাদের বেশিরভাগই তেমন ভাল করতে পারেনি।

সাবেক প্রেসিডেন্ট গতকাল বুধবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যার মুখে তার মার-এ-লেগোর বাসভবন থেকে সংক্ষিপ্ত এক ভাষণে দাবি করেন, তার অনুমোদনপ্রাপ্ত প্রার্থীরা বিপুল ব্যবধানে জিতেছেন। কিন্তু প্রকৃত অর্থে সেটা হয়নি। তার সমর্থনপুষ্ট প্রার্থীরা তেমন সুবিধা করতে পারেননি বলে জানিয়েছে বিবিসি।

উল্লেখ্য, আগামী সপ্তাহে ট্রাম্প যদি আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দেনও, তাহলেও তা কতটা সমর্থন পাবে সেটা এখনো নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।

অন্যদিকে ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের রিপাবলিকান গভর্নর রন ডিসান্টিস বিপুল ব্যবধানে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য জিতেছেন। ধারণা করা হচ্ছে এই জয়ের মধ্যে দিয়ে তিনি ২০২৪ এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চ্যালেঞ্জ জানানোর একটা অবস্থান তৈরি করেছেন। যদিও প্রেসিডেন্ট পদের প্রার্থী হবার ইচ্ছা তিনি এখনো প্রকাশ করেননি।

ফ্লোরিডা আমেরিকার অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ সুইং স্টেট এবং সেখান থেকে তার এই বিপুল ব্যবধানে বিজয়কে বেশ গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে। গতকাল  ডিসান্টিসের সমর্থকদের তার জয়ের পর ধ্বনি দিতে শোনা গেছে ‘আর মাত্র দুবছর’।