
ছবি: সংগৃহীত
পশ্চিমা নারীবাদীদের মতো প্রকাশ্যেই ধূমপান শুরু করেছে সৌদি আরবের নারীরা। তবে পশ্চিমা মিডিয়া এটিকে খুবই ইতিবাচক হিসেবে বর্ণনা করেছে।
সৌদির রাজধানী রিয়াদের কেন্দ্রে একটি অভিজাত ক্যাফে। এর ভেতরে একটি চেয়ারে বসলেন রিমা। সতর্কতার সঙ্গে আশপাশটা একটু দেখে নিলেন। দেখলেন, পরিচিত কেউ আছেন কিনা। এরপর নিজের ইলেকট্রিক সিগারেটটা (ই-সিগারেট) বের করে ধরালেন।
বছরখানেক হলো একেবারে পশ্চিমা নারীবাদীদের মতোই প্রকাশ্যে ধূমপান করছেন সৌদি নারীরা। রক্ষণশীল সৌদিতে এমন দৃশ্য কিছুদিন আগেও ছিল অকল্পনীয়। হঠাৎ সামাজিক পরিবর্তনে দেশটির কিছু নারীকে ইদানীং সিগারেট, সিসা পাইপ তথা ধূমপান করতে দেখা যাচ্ছে। এটাকে তারা ‘মুক্তির প্রতীক’ হিসেবে দেখছেন।
এবারই প্রথম ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস পালন করেছেন সৌদি নারীরা। সেই সাথে ধূমপানও করছেন প্রকাশ্যে। রিয়াদের একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত ২৭ বছর বয়সী নারী রিমার মুখেও এটাকে নারী স্বাধীনতা বলতে শোনা গেল।
এএফপিকে তিনি বলেন, প্রকাশ্যে সিগারেট টানা আমার সদ্য পাওয়া স্বাধীনতারই অংশ বলে মনে করি আমি। পছন্দের কাজটা করতে পারছি বলে আমি এখন সুখী।
সৌদির বিভিন্ন শহরে বহু আগে থেকেই সিগারেট বা এজাতীয় দ্রব্য বিক্রি ও প্রকাশ্যে ধূমপান করা নিষিদ্ধ। তবে ২০১৮ সালের নভেম্বর থেকে সারা সৌদিতে সরকারি অফিস-আদালত, বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও জনবহুল এলাকায় প্রকাশ্যে ধূমপান শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য।
প্রকাশ্যে কাউকে ধূমপানরত অবস্থায় দেখা গেলে ২০০ রিয়াল জরিমানা করা হয়। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও অন্যান্য দেশের মতোই এখানেও ধূমপান একটা স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে সেটা কেবল পুরুষদের বেলায়।
রিমা বলেন, আমি তাদের বলব না এটা আমার ব্যক্তি স্বাধীনতার বিষয়। কারণ তারা বুঝবে না যে নারীরাও পুরুষের মতো সিগারেট খাওয়ার মতো মুক্ত।
রিমার পাশেই তার মতোই ২৬ বছর বয়সী আরেক নারী নাজলা বলেন, দ্রুত সামাজিক পরিবর্তন সত্ত্বেও সমাজে এখনো অনেক ভণ্ডামি চলছে। নারীদের ধূমপানকে এখানে এখনো ‘কেলেঙ্কারি আর অসম্মানের’ বলে বিবেচনা করা হয়।