ইউরোপজুড়ে ইউক্রেইন দূতাবাসে রক্তমাখা উড়ো চিঠি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:২৫

ইউক্রেইন দূতাবাস। সংগৃহীত ছবি
ইউরোপজুড়ে বেশ কয়েকটি দেশের ইউক্রেইন দূতাবাস ও কনস্যুলেটে ‘রক্ত-ভেজা’ পার্সেল পাওয়ার কথা জানিয়েছে ইউক্রেইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। এসব পার্সেলে প্রাণীর চোখ আছে, বলছে মন্ত্রণালয়। তবে কে বা কারা এ সমস্ত পার্সেল পাঠিয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।
দুইদিন আগেই বুধবার (৩০ নভেম্বর) স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদের ইউক্রেইন দূতাবাসে চিঠিবোমা বিস্ফোরণে একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা আহত হন।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওলেগ নিকোলেঙ্কো জানিয়েছেন, পার্সেলগুলো পাওয়া গেছে- হাঙ্গেরি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, ক্রোয়েশিয়া, অস্ট্রিয়া, স্পেনের ইউক্রেইন দূতাবাস ও কনস্যুলেটে। চেক প্রজাতন্ত্রের পুলিশও এমন পার্সেল পাওয়ার কথা জানিয়েছে।
নিকোলেঙ্কো ফেইসবুকে এক বিবৃতিতে লিখেছেন, “আমরা এই বার্তার মানে কি তা খতিয়ে দেখছি।” তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট সব ইউক্রেইন দূতাবাস এবং কনস্যুলেটকে উচ্চ-সতর্কাবস্থায় থাকার নির্দেশ দিয়েছেন ইউক্রেইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা।
এরকম পার্সেল পাঠানোর মধ্য দিয়ে “ইউক্রেইনের দূতাবাস এবং কনস্যুলেটগুলোতে ত্রাস সৃষ্টি করা এবং তাদেরকে ভীত-সন্ত্রস্ত করার এক সুপরিকল্পিত অভিযান চলছে” বলেই মনে করেন কুলেবা।
স্পেনের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ বিশেষজ্ঞরা এরকম অন্তত পাঁচটি চিঠি বোমা শনাক্ত করেন। বৃহস্পতিবার পঞ্চম চিঠি বোমাটি নিস্ক্রিয় করা হয়। বিস্ফোরক ডিভাইসের হুমকি মোকাবেলায় জোরদার করা হয় নিরাপত্তাও।
এরপরই শোনা গেল পার্সেল পাঠানোর ঘটনা। ইউক্রেইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নিকোলেঙ্কো বলেছেন, পার্সেলগুলো একধরনের রঙিন এবং গন্ধযুক্ত তরলে ভেজানো।
শুক্রবার নিকোলেঙ্কো জানান, একই ধরনের রক্তমাখা প্যাকেজ মাদ্রিদের ইউক্রেইন দূতাবাসে পাওয়া গেছে এবং স্পেনের পুলিশ দূতাবাসের আশেপাশের এলাকা ঘিরে রেখেছে। ওদিকে, চেক প্রজাতন্ত্রের পুলিশ বলেছে, প্রাণীর টিস্যু সম্বলিত প্যাকেট পাওয়া গেছে প্রাগের ইউক্রেইন দূতাবাস এবং বর্নোর কনস্যুলেটে।
এখানেই শেষ নয়, অন্য কয়েকটি স্থানে আরও কিছু ঘটনা ঘটার কথাও জানিয়েছেন ইউক্রেইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নিকোলেঙ্কো।
তিনি জানান, ভ্যাটিকানে ইউক্রেইনের রাষ্ট্রদূতের ফ্ল্যাটের প্রবেশদ্বারে ভাঙচুর হয়েছে। রোমে ইউক্রেইন দূতাবাসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভবনের দরজার সামনে মানুষের মল ফেলে রাখা হয়েছে।
ইউক্রেইন বিদেশি আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে মিলে এইসব হুমকির ঘটনা তদন্ত করে দেখছে এবং এসব ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে সাজার আওতায় আনতে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন নিকোলেঙ্কো।