বিভিন্ন রুশ গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোশিনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত রাশিয়ার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। যেকারণে তার মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল বুধবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে মস্কোর টিভের অঞ্চলের কুজেনকিনো গ্রামের কাছে ১০ আরোহী নিয়ে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় নিহত সব আরোহীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি, সিএনএন ও রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, বিধ্বস্ত হওয়া এই বিমানে প্রিগোজিনও ছিলেন। প্রিগোশিন ছাড়াও এই বিমানের যাত্রী তালিকায় নাম রয়েছে দিমিত্রি উটকিনের। তিনি ওয়াগনারের গ্রুপের কমান্ডার ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা। ওয়াগনারের উপপ্রধান ভ্যালেরি চেকালভও এই বিমানে ভ্রমণ করছিলেন।
এ ছাড়া বিমান বিধ্বস্ত হয়ে প্রিগোশিন ও দিমিত্রি উটকিন নিহত হয়েছেন বলেও দাবি করেছে ওয়াগনার সংশ্লিষ্ট টেলিগ্রাম চ্যানেল গ্রে জোন।
তবে আরটির খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়ার বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা রোসাভিয়াতসিয়া জানিয়েছে, যাত্রী তালিকায় প্রিগোশিনের নাম রয়েছে। তবে সংস্থাটি ওয়াগনারপ্রধানকে আনুষ্ঠানিকভাবে মৃত ঘোষণা করেনি।
যুক্তরাজ্যভিক্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি স্টারকে আন্তর্জাতিক যুদ্ধ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক অ্যান্থনি গ্লিস বলেন, যদি প্রিগোশিন নিহত হয়, তাহলে রাশিয়া আবারও সত্যিকার অর্থে বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে পড়বে। আর যদি তিনি মারা না যান তাহলে সেটি হবে শতাব্দীর সবেচেয়ে বড় ধোঁকা। তাই আমার মনে হয় তিনি নিহত হয়েছেন।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2023 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh