আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪১ এএম
আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪৬ এএম
চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় ফুঁসছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। ন্যক্কারজনক এই ঘটনার বিচার চেয়ে পথে নেমেছে ছাত্র-জনতা-শিক্ষকসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। ৯ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালে এক নারী চিকিৎসককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়।
এই হত্যাকাণ্ডের বিচারসহ নারীদের সুরক্ষায় ১১ দফা দাবিতে পশ্চিমবঙ্গে আজ রবিবার (০১ সেপ্টেম্বর) মহামিছিলের ডাক দিয়েছে ‘আমরা তিলোত্তমা’ নামের একটি সংগঠন। ধারণা করা হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গে এই মিছিলকে কেন্দ্র করে মানুষের ঢল নামবে রাজপথে। আর এটিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য বড় পরীক্ষা হিসেবে দেখছে রাজনীতিবিশ্লেষক ও ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো।
‘আমরা তিলোত্তমা, আমাদের দাবি’ শিরোনামে এই মিছিলে কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হবে। আরজি কর কাণ্ডে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনার পাশাপাশি ঘটনার সময় দায়িত্বে থাকা অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হবে। তার বিরুদ্ধে ঘটনাস্থলে তথ্য-
প্রমাণ নষ্টের অভিযোগ তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা। সেই সঙ্গে বৃহৎ পরিসরে নারী ও প্রান্তিক লিঙ্গের মানুষদের চলাচলের সুরক্ষা ও সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। শুধু স্বাস্থ্য ও শিক্ষাক্ষেত্রে নয়, সমস্ত সরকারি দপ্তরের সিন্ডিকেট নির্মূলের দাবি জানানো হবে মিছিলে।
এ ছাড়া কর্মক্ষেত্র ও সামাজিক ক্ষেত্রে নারীদের নিয়ন্ত্রণ, নজরদারি বন্ধসহ মর্যাদা ও মানবাধিকারের বিষয় নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হবে।
ধর্ষণ-খুনের নিরপেক্ষ ও দ্রুত বিচার এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে রাজপথে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বিনোদন দুনিয়ার রথী-মহারথীরাও। শুরু থেকেই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছিলেন অভিনেত্রী সোহিনী সরকার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে মহামিছিলের দাবি ও লক্ষ্যে কথা তুলে ধরেন তিনি। এই মিছিলে সোহিনী ছাড়াও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে রাজপথে সৃজিত মুখোপাধ্যায়সহ একাধিক তারকাকে দেখা যাবে।
এর আগে ৯ আগস্ট ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় উত্তাল হতে থাকে পশ্চিমবঙ্গ। এরপরই নারীদের নিরাপত্তার দাবিতে ‘রাত দখল’ শিরোনামে রাজপথে নামে নারীরা। এরপর থেকে আন্দোলনের বীজ ঘনীভূত হতে থাকে। পরে তা পুরো রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে। একের পর এক কর্মসূচিতে ধর্ষণ ও হত্যার বিচারের দাবি জানায় সবাই।
একপর্যায়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে ছাত্রদের ওপর হামলা হলে আন্দোলন আরও বিস্তৃত পরিসর পায়। ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি এ ঘটনার পর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর আওয়াজ তোলে। পরবর্তী সময়ে আন্দোলনকারীরাও মমতার পদত্যাগের দাবি তোলে। ফলে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের ক্ষমতায় টিকে থাকার এক বড় পরীক্ষা এই ‘মহামিছিল’।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : মহামিছিল মমতা ভারত পশ্চিমবঙ্গ
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh