রাশিয়ার সঙ্গে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইউক্রেন

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় রাশিয়ার সঙ্গে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ইউক্রেন। বিষয়টি নিয়ে আশ্বস্ত হওয়ার পর ইউক্রেনের সঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়েও রাজি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাশিয়া সম্মত হবে কি না সেটি এখনও স্পষ্ট নয়। একই সঙ্গে ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ উন্নয়নের জন্য একটি বিস্তৃত চুক্তির আওতায় আসবে।

বুধবার বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

সৌদি আরবের জেদ্দায় ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের সাথে আট ঘন্টারও বেশি সময় ধরে আলোচনার করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।

পরে তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র এখন রাশিয়ার কাছে প্রস্তাবটি নিয়ে যাবে এবং বল মস্কোর কোর্টে।”

রুবিও বলেন, “আমাদের আশা রুশরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ‘হ্যাঁ’ উত্তর দেবে, যাতে আমরা এর দ্বিতীয় পর্যায়ে যেতে পারি। তখনই প্রকৃত আলোচনা শুরু হবে।”

২০ জানুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানান, তিনি একটি শান্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত। তবে তারা যুদ্ধবিরতির বিরুদ্ধে এবং রাশিয়ার দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা রক্ষাকারী একটি চুক্তি চাইবেন।

২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া অঞ্চলকে নিজের দখলে নেয় রাশিয়া। এছাড়া পূর্ব ইউক্রেনে রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থন দিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘাত শুরু করে।

প্রায় তিন বছর আগে রাশিয়া সরাসরি ইউক্রেন আক্রমণ করলে এই সংঘাত পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে রূপ নেয়। রাশিয়া ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ দখলের চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হয়। তবে রুশ বাহিনী ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ ভূখণ্ড দখল করে নেয়।

যুদ্ধের সময় রাশিয়া ইউক্রেনজুড়ে ব্যাপক বিমান হামলা চালায়। এর জবাবে ইউক্রেন কামান ও ড্রোন হামলা চালিয়ে প্রতিশোধ নেয়। এছাড়া ইউক্রেনীয় বাহিনী রাশিয়ার পশ্চিম কুরস্ক অঞ্চলে স্থল আক্রমণও করে।

এই যুদ্ধে হতাহতের সঠিক সংখ্যা জানা কঠিন, কারণ উভয় পক্ষই এ বিষয়ে গোপনীয়তা বজায় রাখে। তবে ধারণা করা হয়, লক্ষাধিক মানুষ, যাদের বেশিরভাগই সৈন্য, নিহত বা আহত হয়েছে। এছাড়া ইউক্রেনের লাখ লাখ বেসামরিক নাগরিক শরণার্থী হিসেবে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।