গাজায় নতুন করে বাস্তুচ্যুত প্রায় দেড় লাখ ফিলিস্তিনি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৫, ১৬:০৫

জীবন বাঁচাতে নিজ বাসস্থান ছেড়ে পালাচ্ছে এক ফিলিস্তিনি পরিবার। ছবি- সংগৃহীত
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গত ১৮ মার্চ নতুন করে শুরু হওয়া ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের কারণে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৪২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএএইচএ’র বরাতে বুধবার এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সংস্থাটি জানিয়েছে, ইসরায়েলের দেওয়া আদেশের কারণেই এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তারা সাধারণ মানুষের বাড়িঘরও ধ্বংস করে দিচ্ছে। নতুন করে ছয়টি নোটিশ জারী করেছে, যেখানে গাজা উপত্যকার ১৫ শতাংশ এলাকা খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্বল্পতম সময়ে বাস্তুচ্যুতির শিকার ব্যক্তিদের প্রায় সবার অবস্থাই শোচনীয়। মাত্র কিছু ব্যক্তিগত জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে আসায় অনেক মানুষ এখন রাস্তায় অবস্থান করছেন। খাবার, পানীয় জল ও আশ্রয়ের তীব্র সংকট।
এদিকে মানবিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দাতব্য সংস্থা অক্সফাম যুদ্ধবিরতি চুক্তি পুনর্বহাল এবং গাজার উপর অবরোধ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। অন্যথায় দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা রয়েছে বলে করছে সংস্থাটি।
তারা আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের কারণে গাজায় তাদের কার্যক্রম মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে।
যদিও মানবিক দিক উপেক্ষা করে গাজায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ এখনও অবিরাম বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে। উত্তর গাজার বেইত লাহিয়া জুড়ে মঙ্গলবার সারাদিনই কামানের গোলা ছুঁড়েছে ইসরায়েলি সেনারা। রাফাতে ড্রোন থেকে আবাসিক ভবনগুলোতেও বোমাবর্ষণ করা হয়েছে। এ ছাড়া দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস ও মধ্য গাজার বুরেইজ শরণার্থী শিবিরের দিকে ইসরায়েলি ট্যাংক যেতে দেখা গেছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে শুধু বুধবার ভোর থেকেই এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৬ মাস বয়সী এক শিশু সহ মোট ৫ শিশু রয়েছে। সবমিলিয়ে দ্বিতীয় ধাপের অভিযানে এরই মধ্যে নিহতের সংখ্যা ৬০০ ছাড়িয়েছে।
অধিকৃত পশ্চিমতীরেও ইসরায়েলি সেনারা অভিযান চালাচ্ছে। অস্কারজয়ী ফিলিস্তিনি চলচ্চিত্র নির্মাতা হামাদান বল্লাল আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, ইসরায়েলি সেনারা ও একজন অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনকারী তাকে মারধোর করেছে এবং বন্দুক দিয়ে মাথায় আঘাত করেছে।
প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্টের বরাতে ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ফাওয়ার শরণার্থী শিবিরে অভিযান পরিচালনা করার সময় একটি অ্যাম্বুলেন্স থামিয়ে চিকিৎসাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।