শপথ নেওয়ার তিন মাস না পেরোতেই বড় বিক্ষোভের মুখে ট্রাম্প

একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ও অর্থনীতিকে অস্থির করে তুলেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিভিন্ন দেশের ওপর শুল্ক আরোপ, সরকারি খাতে কর্মী ছাঁটাই ও সামাজিক সুরক্ষা খাতে কাটছাঁটের প্রতিবাদে এবার দেশজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ শুরু করেছেন সাধারণ আমেরিকানরা। ইতোমধ্যে স্থানীয় সময় শনিবার তারা ওয়াশিংটন মনুমেন্টের কাছে জড়ো হয়ে ট্রাম্প ও তার সহযোগী ধনকুবের ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া শুরু করেছেন।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বিক্ষোভে ১৫০টি অ্যাকটিভিস্ট সংগঠনের অন্তত ২০ হাজার মানুষ অংশ নিতে পারেন। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্য এবং কানাডা ও মেক্সিকোতেও ট্রাম্প বিরোধী বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

ওয়াশিংটন স্মৃতিস্তম্ভের কাছে বিক্ষোভে অংশ নেওয়াদের অনেকে ইউক্রেনের পতাকা নিয়ে ও ফিলিস্তিনের ঐতিহ্যবাহী পোশাক কেফিয়াহ পরে হাজির হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভের কয়েক ঘণ্টা আগে বার্লিন, ফ্রাঙ্কফুর্ট, প্যারিস ও লন্ডনে বিক্ষোভ করেছেন ট্রাম্পবিরোধি আমেরিকানরা। 

ওয়াশিংটনে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন টেরি ক্লেইন নামে এক জৈবপ্রযুক্তি বিজ্ঞানী। রয়টার্সকে তিনি বলেন, “অভিবাসী নীতি থেকে শুরু করে কর্মী ছাঁটাই, চলতি সপ্তাহে নতুন শুল্ক আরোপ থেকে শিক্ষায় ব্যয় কমানো - ট্রাম্পের এই সব কিছুর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই আমি এখানে হাজির হয়েছি। আমি বলতে চাইছি, আমাদের পুরো দেশ, সবগুলো প্রতিষ্ঠান ও যা কিছু এই আমেরিকা গড়ে তুলেছে- তার সবই আক্রমণের মুখে।”

চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর থেকেই বিভিন্ন নির্বাহী আদেশ জারি করে নিজের ক্ষমতা একচেটিয়া করে তোলার চেষ্টা করছেন তিনি। সরকারি খাতে ব্যয় কমানোর অজুহাতে ২৩ লাখ কর্মীর মধ্যে ইতোমধ্যে দুই লাখ কর্মীকে চাকরিচ্যুত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এ সংক্রান্ত কাজের জন্য ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডিওজিই) নামে আলাদা একটি বিভাগও গড়ে তোলা হয়েছে, যার প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ইলন মাস্ককে।

শনিবারে বাল্টিমোরে ডিওজিইয়ের প্রধান কার্যালয়ের সামনেও শতাধিক বিক্ষোভকারী জড়ো হন। বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের সহায়তা দেয় এমন সংস্থার বরাদ্দ কমানোরও প্রতিবাদ জানান  তারা। ৬৫ বছর বয়সী লিন্ডা ফ্যালকাও জানান, ১৬ বছর বয়স থেকে তিনি সামাজিক সুরক্ষা খাতের সুবিধার টাকা শোধ করে আসছেন। এখন সেই টাকা পাবেন কি না সেটি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।




সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2025 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh