২ মে থেকে খুলছে গার্মেন্টস
গ্রামের শ্রমিকদের ঢাকায় আসা নিষেধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২০, ১৭:৩৪

করোনাভাইরাসের মধ্যেও রাজধানীর কিছু কিছু পোশাক কারখানা খুলে দেয়ার অনুমতি দিয়েছে সরকার। তবে চালু করা গার্মেন্টসগুলোতে শ্রমিকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধও জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
তিনি বলেন, ঢাকা ও আশপাশের গার্মেন্ট অধ্যুষিত এলাকায় অবস্থানরত শ্রমিকদের দিয়েই কারখানা চলবে; বাইরে থেকে কোনো শ্রমিক আসবে না।
সচিবালয়ে বিজিএমইএ-বিকেএমইএ প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক শেষে তিনি একথা বলেন। এ সময়, কারখানাগুলোকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, ৯৭ ভাগ কারাখানায় মার্চের বেতন দেয়া হয়েছে। বাকিদেরও নির্ধারিত সময়ে বেতন দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
দুপুর সোয়া ১২টায় শুরু হয় এই বৈঠক। এতে শ্রমিকদের বেতন ভাতা পরিশোধ, শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিতসহ বিভিন্ন বিষয়য়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে বিজিএমইএ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সভাপতি রুবানা হক। আরো উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী পরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
এদিকে, অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে আগামী ২ মে থেকে পর্যায়ক্রমে সব কারখানা চালু করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)। অপরদিকে শ্রমিকদের এখনই গ্রাম থেকে না ফেরার পরামর্শ দিয়েছে বিকেএমইএ।
সোমবার (২৭ এপ্রিল) রাতে এক ভিডিও বার্তায় সংগঠনটির প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম এ কথা জানিয়ে বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশজুড়ে লকডাউনের মধ্যেই পর্যায়ক্রমে খুলছে পোশাকশিল্প কারখানা। অর্থনীতির চাকাকে আবারও সচল করার জন্যই কারখানাগুলো খোলা হচ্ছে।
বিকেএমইএ নেতা মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি পর্যায়ক্রমে খুললেও এই মুহূর্তে দূর-দূরান্ত থেকে শ্রমিক ভাই-বোনদের কর্মস্থলে না ফেরার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেমন-ফ্যাক্টরিতে ঢোকার আগে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, ব্লিচিংমিশ্রিত পানিতে জুতা ভিজিয়ে প্রবেশ করা, থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে তাপমাত্রা পরিমাপ করা, মাস্ক ব্যবহার করা, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চত করে কর্ম পরিচালনা করা, স্বাস্থ্যবিধিগুলো যতটুকু আমাদের দ্বারা সম্ভব আমরা গ্রহণ করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘জীবন-জীবিকার সন্ধানে আমাদের নামতে হবে। করোনাভাইরাসের কারণে স্থবির হয়ে যাওয়া অর্থনীতির চাকাকে আবারও সচল করতে হবে। এমনই অবস্থার প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্যসুরক্ষা মেনে রোববার (২৬ এপ্রিল) থেকে নিটওয়ার সেক্টরের নীটিং, ডায়িং ও স্যাম্পল ইউনিট খুলে দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল বিকেএমইএর পক্ষ থেকে। ২ মে থেকে গার্মেন্ট শাখাও খোলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।’