
আজ সোমবার (৯ মার্চ), হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব দোল পূর্ণিমা। বাংলাদেশে এই উৎসবটি ‘দোলযাত্রা’ নামেও পরিচিত।
প্রতিবারের মতো এবারও ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী উৎসব পালিত হচ্ছে। তবে করোনা ইস্যুতে এবার আয়োজন সীমিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মহানগর সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটি। এবার রঙ খেলা হচ্ছে না কোনো মন্দিরে।
সনাতন বৈষ্ণবদের উৎসব এই দোলযাত্রা। বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, এই দিন বৃন্দাবনে শ্রীরাধিকা এবং তার সখীদের সঙ্গে আবির খেলেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। সেই ঘটনা থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি। তাই দোলযাত্রার দিন এই মতের বিশ্বাসীরা রাধাকৃষ্ণের বিগ্রহ আবিরে রাঙিয়ে দোলায় চড়িয়ে নগর কীর্তনে বের হন। এসময় রঙ খেলায় মেতে ওঠেন তারা।
কোনো কোনো স্থানে এই উৎসবকে বসন্ত উৎসবও বলা হয়।
এছাড়াও মতান্তরে, দ্বাপর যুগে (হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী চার যুগের তৃতীয় যুগ) পুষ্পরেণু ছিটিয়ে রাধা-কৃষ্ণ দোল উৎসব করতেন। সময়ের বিবর্তনে পুষ্পরেণুর জায়গায় এসেছে ‘আবির’।
বিশ্বের অনেক স্থানে উৎসবটি শ্রীকৃষ্ণের দোলযাত্রা নামে অধিক পরিচিত হলেও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, মাদ্রাজ, উড়িষ্যাসহ আরো কয়েকটি স্থানে দোল উৎসব এবং উত্তর, পশ্চিম ও মধ্য ভারতে ‘হোলি’ নামে পরিচিত। এছাড়াও নেপালেও এই উৎসব ‘হোলি’ নামে পরিচিত।
দোলযাত্রা উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন মন্দিরে পূজা, হোমযজ্ঞ ও প্রসাদ বিতরণের আয়োজন করেছে।
এবার শুধু ঠাকুরের পায়ে আবির দিয়েই দোল পূর্ণিমার আনুষ্ঠানিকতা হবে বলে জানিয়েছেন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কিশোর রঞ্জন মণ্ডল।
তিনি বলেন, ‘এবার আমরা শুধু ঠাকুরের পায়ে আবির দেবো। এবার কোনও রঙ খেলায় অংশগ্রহণ করবো না। অন্যরাও কেউ যেন না করে। এর বেশি আমাদের আর কোনো আয়োজন নেই। বৈঠকের সিদ্ধান্ত আমরা ৫২টি থানার নেতৃবৃন্দকে জানিয়ে দিয়েছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘বড় আকারে হোলি আমরা কখনো খেলি না ঢাকা শহরে। আমরা সবসময় নিরুৎসাহিত করি। আবির আমরা সবসময় ঠাকুরের পায়ে দিই।’