Logo
×

Follow Us

Unknown

শাবান মাসে নবীজী যা করতেন

Icon

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২০, ১২:৪৫

শাবান মাসে নবীজী যা করতেন

শাবান মাস রমজানের সংযম-সাধনা ও অধ্যবসায়ের প্রস্তুতির মাস। এ মাস মুসলমানদের কাছে পবিত্র ও মহিমান্বিত রমজান মাসের সওগাত নিয়ে আসে। নবী কারীম (সা.) এই মাসে বেশি বেশি এবাদত বন্দেগী ও রোজা রাখতেন। তাই এ মাসটি গুরুত্বপূর্ণ। 

শাবান মাসে আল্লাহর অবারিত রহমত ও অফুরন্ত করুণার দ্বার উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়, যাতে বান্দারা নিজেদের গুনাহ মাফ করিয়ে নিতে পারে। 

আবু উমামা বাহেলি (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, শাবান মাস এলে রাসুল (সা.) বলতেন- ‘এ মাসে তোমরা তোমাদের অন্তর জগৎকে পাক-পবিত্র করে নাও এবং নিয়তকে বিশুদ্ধ-সঠিক করে নাও। [তাবরানি]

শাবান মাসের আগে রজব মাস শুরু হলে রাসুল (সা.) অধিকহারে এই দোয়া করতেন- ‘হে আল্লাহ! আমাদের রজব ও শাবান মাসে বরকত দান করুন এবং আমাদের রমজান মাস পর্যন্ত পৌঁছে দিন।’ [মুসনাদে আহমাদ, বায়হাকি]

রাসুল (সা.) শাবানের বেশিরভাগ সময় রমজানের মতো রোজা পালন, কোরআন তিলাওয়াত, দান-সদকা ও অন্যান্য ইবাদত-বন্দেগিতে মগ্ন থাকতেন। 

উসামা ইবনে যায়েদ (রা.) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! অন্যান্য মাসে আপনাকে শাবানের মতো রোজা রাখতে আমি দেখিনি। রাসুল (সা.) বলেন, এটা এমন এক মাস, মানুষ অবহেলার দরুন যার গুরুত্ব অনুধাবন করে না। রমজান ও রজবের মাঝে এর অবস্থান, আল্লাহর কাছে এ মাসের আমল ও পুণ্যের মর্যাদা অত্যন্ত বেশি। আর আমি আমার আমল-কর্ম শাবান মাসের রোজা দ্বারা মহিমাপূর্ণ করতে চাই। [নাসায়ি শরিফ]

অন্যান্য মাসের তুলনায় রাসুল (সা.) শাবান মাসে অধিকহারে নফল রোজা, কোরআন তিলাওয়াত ও নামাজ আদায় করে রমজানের প্রস্তুতি নিতেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, ‘নবী করিম (সা.) কখনো ধারাবাহিকভাবে রোজা (নফল) রাখতে শুরু করলে আমরা বলাবলি করতাম, তিনি হয়তো আর বিরতি দেবেন না। আর রোজার বিরতি দিলে আমরা বলতাম যে, তিনি হয়তো আর রোজা (নফল) রাখবেন না। আমি রাসুল (সা.)-কে রমজান ছাড়া অন্য কোনো মাসে সারা মাস রোজা পালন করতে দেখিনি এবং শাবান মাসের মতো বেশি নফল রোজা অন্য মাসে রাখতে দেখিনি।’ [বুখারিও মুসলিম]

আনাস বিন মালিক (রা.) একবার মুসলমানদের ইতিহাস-ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘তখন শাবান মাসের আগমন হলে মুসলমানেরা বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াতে মনোনিবেশ করতেন এবং বিত্তশালী ও ধনবানরা দরিদ্রর মাঝে জাকাত-সাদকা বিতরণ করতেন। যাতে করে অভাবক্লিষ্ট পরিবারগুলো স্বস্তি ও শক্তি সঞ্চয় করে রমজানের রোজাগুলো সুন্দরভাবে কাটাতে পারে।’

রমজানের প্রস্তুতি হিসেবে অন্যান্য মাসের তুনায় অধিক পরিমাণে ইবাদত-বন্দেগির অভ্যাস গড়ে তোলা দরকার। এছাড়া মন-মানসিকতা ও আচার-আচরণ পরিশুদ্ধ করার জন্য সচেষ্ট থাকা প্রয়োজন। যাতে পূত-পবিত্র ও প্রফুল্ল দেহ-মন নিয়ে রমজানুল মোবারকের সাধনা ও অধ্যবসায় পালন করা যায় এবং এ মাসের সামগ্রিক রহমত-বরকত, সৌভাগ্য ও কল্যাণ লাভ সম্ভব হয়।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫