Logo
×

Follow Us

Unknown

জাহান্নাম থেকে মুক্তির ৮ আমল

Icon

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ০৭ মে ২০২০, ১৪:৪৮

জাহান্নাম থেকে মুক্তির ৮ আমল

রমজান মাস পবিত্র মাস। এ মাসে রোজা রাখার পাশাপাশি পরিপূর্ণ ইবাদতে মশগুল থাকলে, মহান আল্লাহ তার দ্বিগুণ ফিরিয়ে দেন। গুনাহ মাফের মাসও এটি। তাই রমজানে বেশি বেশি ইবাদত করা উচিত। 

হাদিসে জাহান্নাম থেকে মুক্তির বিভিন্ন আমল সম্পর্কে বিশদ আলোচনা আছে। সেখান থেকে জাহান্নাম থেকে বাঁচার আটটি আমল বর্ণনা করা হলো:

১. মুমিন যখন তার ঈমানের ব্যাপারে নিষ্ঠা অর্জন করবে, আল্লাহ তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেবেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ‘লা ইলাহা ইল্লাহ’ বলে এবং মারা যায়, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার জন্য জাহান্নাম হারাম করে দেবেন।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬৪২২)

২. যথাযথভাবে রোজা পালনের মাধ্যমে ব্যক্তি জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করতে পারে। কেননা মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘রোজা ঢালস্বরূপ, যার মাধ্যমে বান্দা জাহান্নাম থেকে আত্মরক্ষা করে।’ (আল মুজামুল কাবির, হাদিস: ৮৩৮৬)

৩. ঈমানের পর নামাজ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম। নামাজের মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর নৈকট্য লাভ করে। আল্লাহ নামাজি ব্যক্তির জীবন-জীবিকা প্রশস্ত করে দেন এবং মানবিক ত্রুটিমুক্ত করেন। 

৪. আল্লাহর ভয়ে কান্নাকারীকে আল্লাহ জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দেবেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর ভয়ে কান্না করে তাকে জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না, যতোক্ষণ না স্তন থেকে বের হওয়া দুধ তাতে পুনরায় প্রবেশ করে।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ১৬৩৩)

৫. যারা দ্বিন ও ইসলামের কাজে নিজেকে নিয়োজিত করবে, জাহান্নামের আগুন তাদের স্পর্শ করবে না। মহানবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর পথে ধুলাধূসরিত দুই পা জাহান্নামের জন্য হারাম।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ১৬৩২)

৬. মুমিন ব্যক্তি সমাজের সবচেয়ে চরিত্রবান ও আচার-ব্যবহারের অধিকারী। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সহজ-সরল, নম্র-ভদ্র ও নিকটবর্তী হয় আল্লাহ তার জন্য জাহান্নাম হারাম করে দেন।’ (মুসতাদরিকে হাকিম, হাদিস: ৪৩৫)

৭. আল্লাহর জিকির তাঁর রাগ ও ক্রোধ প্রশমিত করে এবং বান্দার সঙ্গে তাঁর নৈকট্য বৃদ্ধি করে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ মুমিনদের সকাল-সন্ধ্যা জিকিরের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, ‘হে মুমিনরা, তোমরা বেশি বেশি আল্লাহর স্মরণ করো এবং সকাল-সন্ধ্যায় তাঁর তাসবিহ পাঠ করো।’ (সুরা: আহজাব, আয়াত: ৪১-৪২)

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘সকালের নামাজের পর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত আল্লাহর জিকিরকারীদের সঙ্গে বসা আমার কাছে বনি ইসমাইলের চারজন দাস মুক্ত করা এবং তাদের প্রত্যেকের পক্ষ থেকে ১২ হাজার করে দিয়্যত (রক্তপণ) আদায় করার চেয়ে প্রিয়। আর আসর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জিকিরকারীদের সঙ্গে বসা আমার কাছে চারজন দাস স্বাধীন করার চেয়ে প্রিয়।’ (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস: ৩৬৬৯)

৮. অনুপস্থিতিতে কোনো মুমিনের মান-সম্মান নষ্ট করলে আল্লাহ যেমন ক্ষুব্ধ হন, তেমনি তা রক্ষা করলে তিনি খুশি হন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি অনুপস্থিতিতে তার ভাইয়ের সম্মান রক্ষা করে, তার জাহান্নাম থেকে মুক্তি আল্লাহর জন্য আবশ্যক হয়ে যায়।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস: ৭২২১)

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫