
রমজান মাস পবিত্র মাস। এ মাসে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন অসংখ্য রহমত ও বরকত দান করেন। তাই এ মাসে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করা উত্তম। তাছাড়া দোয়াই ইবাদতের মূল। যেকোনো প্রয়োজনে মহান আল্লাহর দরবারে সাহায্য প্রার্থনা করলে তিনি অবশ্যই বান্দাকে সাহায্য করেন।
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমাকে ডাকো, আমি সাড়া দেবো।’ (সুরা : আল গাফির, আয়াত : ৬০)
এ কারণে যেকোনো সময় যেকোনো পরিস্থিতিতে মহান আল্লাহর কাছে দোয়ার মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করা উচিত।
তবে হাদিসের ভাষ্য মতে, দিন ও রাতের কিছু বিশেষ সময় আছে, যখন দোয়া করলে মহান আল্লাহ তা কবুল করেন। এর কয়েকটি রমজান মাসের সঙ্গেও বিশেষায়িত।
দিন ও রাত্রির যে সময়গুলোতে দোয়া কবুল হয় সেগুলো হলো:
রাতের শেষ ভাগ
হজরত আমর ইবনে আবাসা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রাতের শেষ ভাগে মহান প্রভু আল্লাহ বান্দার সবচেয়ে নিকটবর্তী হন। সুতরাং তুমি এই সময় আল্লাহর স্মরণ করতে পারলে তা করো।’ (বুখারি, হাদিস : ১১৪৫)।
আল্লাহর স্মরণে রাত জাগার পর
পবিত্র মাহে রমজানের শেষ দশকে অনেকেই রাত জেগে মহান আল্লাহর ইবাদত করেন। আল্লাহর স্মরণে রাত্রি জাগরণের পর আল্লাহর কাছে কিছু চাইলে তিনি তা দান করেন। হজরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে মুসলিম আল্লাহর জিকির বা স্মরণের সঙ্গে রাত্রি জাগরণ করবে এবং দুনিয়া-আখিরাতের কোনো কল্যাণ চাইবে, তা তাকে দেয়া হবে।’ (মুসনাদে আহমাদ)।
রোজাদার ও মুসাফিরের দোয়া
মহানবী (সা.) বলেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেয়া হয় না। সন্তানের জন্য পিতার দোয়া, রোজাদারের দোয়া ও মুসাফিরের দোয়া।’ (বায়হাকি : ৩/৩৪৫)।
শুক্রবার দিনের শেষ মুহূর্তে
শুক্রবার দিনের শেষ ভাগে মহান আল্লাহ তাঁর প্রিয় বান্দাদের দোয়া কবুল করেন। তাই রমজান মাসের শুক্রবারগুলো আছরের পর থেকে ইফতার পর্যন্ত বেশি বেশি মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করা উচিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘জুমার দিনের ১২টি মুহূর্ত। তার একটি মুহূর্ত এমন, যখন কোনো মুসলিম কিছু চাইলে আল্লাহ তা তাকে দান করেন। তোমরা আছরের পরের শেষ মুহূর্তে তা অনুসন্ধান করো।’ (বুখারি, হাদিস : ৬০৩৭)
ইফতারের সময়
ইফতারের পূর্বমুহূর্তটি রোজাদারের জন্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ সময় আল্লাহ রোজাদারের দোয়া কবুল করেন।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেয়া হয় না; ন্যায়পরায়ণ শাসক, রোজাদার যতোক্ষণ না ইফতার করে এবং মজলুমের দোয়া। (ইবনে মাজাহ, হাদিস ১৭৫২)