
তেল নির্ভর অর্থনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে সৌদি আরব ভ্রমণ ভিসা ইস্যু করা শুরু করেছে। পর্যটন শিল্পের দিকে ঝুঁকছে বলেই বছরের যে কোনো সময় ভ্রমণকারীরা এ ভিসায় গিয়ে ওমরাহও পালন করতে পারবে। এছাড়া পুরুষ ছাড়া নারীদের ভ্রমণেও কোনো বাধা থাকছে না।
পর্যটন শিল্প বিকাশের ফলে সৌদি আরবে ১ লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হতে যাচ্ছে। আর তাতে বছরব্যাপী সৌদি আরবের দর্শনীয় স্থানগুলো দেখা এবং জিয়ারতে ১০ কোটি পর্যটককে সমাগমের পরিকল্পনাও রয়েছে।
সৌদি কমিশন ফর ট্যুরিজম অ্যান্ড ন্যাশনাল হেরিটেজ (এসসিটিএইচ)-এর তথ্য মতে, ইতিমধ্যে বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপনের জন্য সৌদি আরব ভ্রমণে পর্যটন ভিসা প্রদান শুরু করেছে দেশটি।
কোনো নারীর যদি ভ্রমণ ভিসা থাকে তবে সে নারী পুরুষ আত্মীয় বা মাহরাম ছাড়া ওমরাহ পালনে কোনো বাধা থাকবে না।
সৌদি আরবের দূতাবাস ও সৌদি আরবের প্রতিনিধিত্বকারী অফিস থেকে ই-ভিসা পাওয়া যাবে। এ ভিসা প্রাপ্তিতে ইউরোপ আমেরিকা ও এশিয়ার ৪৯টি দেশের জন্য কোনো শর্ত প্রয়োজন হবে না।
পর্যটন সম্প্রসারণ প্রসঙ্গে আহমদ বিন আকিল আলখতিব বলেন, ‘ সৌদি আরব সারা বিশ্বের মানুষের জন্য পর্যটন ভিসার উদ্বোধনের ঘোষণা দিয়ে গর্বিত। এর মাধ্যমে আমরা লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান ও আয়ের ব্যবস্থা করেছি। এ লক্ষ্যে পর্যটন খাতকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’
এমনকি অমুসলিমরাও ভ্রমণ ভিসায় সৌদি ভ্রমণ করতে পারবে। ভ্রমণ ভিসায় বছরে একাধিকবার সৌদি ভ্রমণের সুযোগ রয়েছে। তবে মাল্টিপল ভিসায় ৯০ দিনের বেশি সৌদি অবস্থান করা যাবে না।