
ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা আজ শুরু হচ্ছে। জগতের মঙ্গল কামনায় এবার দেবীর আগমন ঘটছে ঘোড়ায় চড়ে। শ্বশুরবাড়ি কৈলাস থেকে কন্যারূপে তিনি বাপের বাড়ি বেড়াতে মর্ত্যলোকে আসছেন।
৮ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে দেবী দুর্গা বিদায়ও নেবেন ঘোড়ায় চড়ে।
পুরাণে আছে, অসুর শক্তির কাছে পরাভূত দেবতারা স্বর্গলোকচ্যুত হয়েছিলেন। এই অশুভ শক্তিকে বিনাশ করতে একত্র হন দেবতারা। অসুর শক্তির বিনাশে অনুভূত হলো এক মহাশক্তির আবির্ভাব। দেবতাদের তেজরশ্মি থেকে আবির্ভূত হলেন অসুরবিনাশী দেবী দুর্গা।
দেশের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা সামনে রেখে মন্দিরের পাশাপাশি সারা দেশের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। গতকাল ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শনে গিয়ে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আশ্বস্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, পূজার সময়ে কোনো ধরনের হামলা বা সহিংসতার আশঙ্কা নেই। তার পরও যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য পুলিশের কন্ট্রোল রুমসহ সব জায়গায় আলাদা ফোর্স থাকবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সারা দেশে মণ্ডপগুলোতে ৫ অক্টোবর থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাড়ে তিন লাখ সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। নারী স্বেচ্ছাসেবক দল, ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশও উপস্থিত থাকবে। এ ছাড়া মণ্ডপে সিসিটিভি, আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর থাকবে। পূজামণ্ডপে বিঘ্ন সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকবেন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হিন্দুধর্মাবলম্বীদের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি বাণীতে বাংলাদেশের চিরাচরিত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুণ্ণ রেখে উন্নয়ন ও গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বাণীতে বলেন, ‘দুর্গাপূজা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসবই নয়, এটি আজ সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে।’