
ইসলাম শান্তির ধর্ম। মানুষের প্রতি দয়া, মায়া, ভালোবাসা, ভ্রাতৃত্ব, সহানুভূতিশীল হওয়ার কথা বলা হয়েছে কোরআন ও হাদিসে।
মিথ্যা, মুনাফেকিসহ সকল প্রকার খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। যারা প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে, আমানতের খেয়ানত করে, বারংবার মিথ্যা বলে মানুষকে ঠকায় তাদের জন্য অপেক্ষা করছে কঠিন শাস্তি।
জানুন যাদের জন্য কঠোর শাস্তি অপেক্ষা করছে তা সম্পর্কে:
অধিক হারে শপথকারী বিক্রেতা
মিথ্যা শপথ করে যারা পণ্য বিক্রি করে তাদের অধিক হারে শপথকারী বিক্রেতা বলা হয়েছে। (তিরমিজি, হাদিস: ১২১১)
যারা সৎ ব্যবসায়ী তাদের মহান আল্লাহ কিয়ামতের দিন সম্মান দান করবেন। কিন্তু যারা ব্যবসা-বাণিজ্যে অসৎ, তাদের জন্য অপেক্ষা করছে কঠিন শাস্তি।
অহংকারী দরিদ্র
অহংকার হচ্ছে সব পাপের মূল। ধনী-গরিব, ছোট-বড়, উঁচু-নিচু সবার জন্যই অহংকার করা মারাত্মক অপরাধ।
পবিত্র কোরআনে আছে, তোমাদের মাবুদ এক। সুতরাং যারা আখিরাতে ঈমান রাখে না, তাদের অন্তরে অবিশ্বাস বদ্ধমূল হয়ে গেছে এবং তারা অহংকারে লিপ্ত। স্পষ্ট কথা, তারা যা গোপনে করে তা আল্লাহ জানেন এবং যা প্রকাশ্যে করে তা-ও। নিশ্চয়ই তিনি অহংকারীকে পছন্দ করেন না।(সুরা: নাহাল, আয়াত: ২২-২৩)
অত্যাচারী শাসক
অত্যাচার মানুষের ধ্বংস ডেকে আনে। এটি পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে ফাটল সৃষ্টি করে। গৃহকর্তা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপ্রধান, কারো জন্যই এটি হালাল নয়।
রাসুল (সা.) হাদিসে কুদসিতে আল্লাহর কথা বর্ণনা করে বলেন, ‘হে আমার বান্দা, আমি নিজের ওপর জুলুম হারাম করেছি এবং তোমাদের জন্যও তা হারাম করেছি। অতএব তোমরা একে অপরের ওপর জুলুম কোরো না।’ (মুসলিম, হাদিস: ৬৭৩৭)
বৃদ্ধ ব্যভিচারী
বৃদ্ধাবস্থায় ব্যভিচার অত্যন্ত মারাত্মক অপরাধ। এর মানে এই নয় যে যৌবনকালে ব্যভিচার দোষণীয় নয়। বরং ব্যভিচার সর্বাবস্থায়ই মারাত্মক অপরাধ। আল্লাহ ও তার রাসুল ব্যভিচারকে হারাম করেছেন।