তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২০, ১০:৩৯

ছবি: সংগৃহীত।
ইসলামে হিজড়া বা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের প্রতি তাদের প্রাপ্য সম্মান দেখানোর কথা বলা হয়েছে। ইসলাম তাদের কখনো সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়নি; বরং সম্মানসহ সামাজিক ও ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে তাদের অংশগ্রহণ অনুমোদন করেছে।
ইসলামের দৃষ্টিতে হিজড়ারা মানব সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত এবং মানুষ হিসেবে যথাযথ সম্মান ও অধিকার তাদের প্রাপ্য। বরং ত্রুটিপূর্ণ দৈহিক গঠনের জন্য অন্যান্য ত্রুটিপূর্ণ মানুষের মতো তারাও মানুষের সহানুভূতির দাবিদার।
ইসলামের মৌলিক বিশ্বাস অনুযায়ী মানুষের জন্ম ও দৈহিক অবয়ব সম্পূর্ণ আল্লাহর দান। আল্লাহ যাকে যেভাবে খুশি সৃষ্টি করেন। দৈহিক পূর্ণতা ও অপূর্ণতা তাঁর ইচ্ছাধীন।
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনি (আল্লাহ) মাতৃগর্ভে তোমাদের যেমন ইচ্ছা তেমন রূপ দেন। ...’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ৬)
সুতরাং তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের ঘৃণা পোষণ এক প্রকার আল্লাহর প্রতি অনাস্থা প্রকাশ এবং তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রশ্ন উত্থাপন। তবে যেহেতু এটি এক প্রকার ত্রুটি, তাই মানুষ সুস্থতার জন্য আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা আদায় করবে এবং আল্লাহর সৃষ্টি হিসেবে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের প্রতি সম্মান ও সহানুভূতি প্রকাশ করবে। মানুষ হিসেবে তাদের মূল্যায়ন করবে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা তোমাদের চেহারা ও সম্পদ দেখেন না; বরং তিনি তোমাদের হৃদয় এবং আমলসমূহ দেখেন।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৬৭০৮)