
ফাইল ছবি।
পানির অপর নাম জীবন। বেঁচে থাকার অত্যাবশ্যকীয় একটি উপাদান এটি। তবে পানি পানেও রয়েছে ইসলামের নির্দেশনা। প্রিয় নবী হজরত মোহাম্মদ (সা:) পানি পানের সময় ছয়টি আমল করতেন।
আমলগুলো হলো:
পানি পানের শুরুতে ‘বিসমিল্লাহ’ বলা
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যখন তোমরা পানি পান করতে যাবে তখন প্রথমেই ‘বিসমিল্লাহ’ পড়বে।’ (তিরমিজি)
শুধু পানি পানের সময়ই নয়, বরং যে কোনো কিছু খাওয়ার সময় এবং ভালো যে কোনো কাজের শুরুতে ‘বিসমিল্লাহ’ বলতে হবে।
সবসময় ডান হাতে পানি পান করা
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কখনো খাবার এবং পানীয় বাম হাতে গ্রহণ করবে না। কেননা শয়তান বাম হাতে খাবার গ্রহণ করে।’ (মুসলিম)
সবসময় বসে পানি পান করা
হাদিসের বিখ্যাত গ্রন্থ মুসলিমে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, (আগে) বসুন এবং পানি করুন।’
বসে পানি পান করা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অন্যতম সুন্নাত। তাছাড়া চিকিৎসকরা বলেন, দাঁড়িয়ে পানি পান করার চেয়ে বসে পানি পান করা বেশি ভালো।
৩ নিঃশ্বাসে পানি পান করা
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা কখনো এক নিঃশ্বাসে পানি পান করো না। বরং তোমরা দুই কিংবা তিন নিঃশ্বাসে পানি পান করো।
গ্লাসের পানিতে নিঃশ্বাস না ছাড়া
তিবরানিতে এসেছে, ‘পানি পান কিংবা খাবার গ্রহণের সময় মুখ থেকে পানি কিংবা খাবারে নিঃশ্বাস না ছাড়া।’
চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিষয়টি সুস্পষ্ট করা হয়েছে যে, অনেক সময় মুখে অনেক বা মুখের সামনে অনেক ব্যাকটেরিয়া বা জীবানু থাকে। পানি বা খাবারে ফুঁ দেয়া বা নিঃশ্বাস ফেলানোর ফলে এ জীবানু ব্যাকটেরিয়া পানি ও খাবারের সঙ্গে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। আর তাতে ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
পানি পানের পর ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলা
পানি পানের পর আল্লাহর শুকরিয়া আদায় স্বরূপ সবসময় ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলা উত্তম। সুন্দর ও নিরাপদভাবে খাবার ও পানীয় গ্রহণের পর আল্লাহর প্রশংসামূলক বাক্য ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলায় তারই কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়।