ইরানের ৩৯তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশের জন্য সফলতা নিয়ে এসেছেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হাফেজ শেখ মাহমুদুল হাসান। প্রতিযোগিতায় তিনি পূর্ণ কোরআন হিফজ ক্যাটাগরিতে তৃতীয় স্থান অর্জন করেন।

১৯ বছর বয়সী শেখ মাহমুদুল হাসানের বাড়ি কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার বালুচর গ্রামে। তার বাবার নাম হাফেজ ইমামুল হোসাইন। মাহমুদুল হাসান নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা শান্তিধারা এলাকার মাকাজুল মাদিনা আল লতিফী আল ইসলামী মাদরাসায় পড়াশোনা করছেন। 

গত বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) তেহরানের সামিট হলে অনুষ্ঠিত সমাপনী পর্বে বিজয়ী প্রতিযোগীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসিসহ সরকারি-বেসরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। 

ইরানের আওকাফ ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক এই কোরআন প্রতিযোগিতা। মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে এই প্রতিযোগিতার প্রতিপাদ্য ছিল- ‘ওয়ান বুক ওয়ান উম্মাহ’ তথা ‘এক গ্রন্থ এক জাতি’।

এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল বিশ্বের ৮০টি দেশের দেড়শ প্রতিযোগী। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে বাছাইকৃত প্রতিযোগীদের নিয়ে তেহরানে অনুষ্ঠিত হয় চূড়ান্ত পর্ব। এতে ছিল বিশ্বের ৩৩টি দেশের ৫২ জন হাফেজ-হাফেজা।

বেশ কয়েকটি ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগিতায় হয়। এর মধ্যে হিফজ ক্যাটাগরিতে ছেলেদের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় হয়েছেন যথাক্রমে ইরানের সিনা তাব্বাকি ও কেনিয়ার আবদুল আলিম আবদুল রহিম। তৃতীয় হয়েছেন বাংলাদেশের শেখ মাহমুদুল হাসান।

হিফজ ক্যাটাগরিতে মেয়েদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন ঘানার আমিনা ইবরাহিম। দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন যথাক্রমে ইরানের হাজার মেহরালিয়ান ও আলজেরিয়ার নাসরিন খালেদি।

কোরআনের তারতিল ক্যাটাগরিতে ছেলেদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন ইরানের মোহাম্মদ জাভেদ জাবেরি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন যথাক্রমে কিরগিস্তানের মোহাম্মদ ইয়ার ও লেবাননের ইসমাইল হামদান। 

কোরআনের তারতিল ক্যাটাগরিতে মেয়েদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন ইরানের ফাহিমেহ আসগারজাদেহ। দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন যথাক্রমে লেবাননের লায়লা আফারা ও আফগানিস্তানের আমিনেহ শিরজাদ। 

এছাড়া কিরাত ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছেন ইরানের আমির হোসাইন রহমাতি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন যথাক্রমে আফগানিস্তানের সাইয়েদ আমির হাসেমি ও ইন্দোনেশিয়ার আবদুল্লাহ ফিকরি।

উল্লেখ্য, গত বছর এই প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন বাংলাদেশের হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরীম (১৩)।