প্রবাসী বাংলাদেশি মো. লিটনকে (৩৫) হত্যা করে তার লাশ কাফু-অ্যাটল গালুফালহু আইল্যান্ডের নিকটবর্তী সাগরে ফেলে দিয়েছেন নিখোঁজ হওয়া ফুয়েল বার্জের ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ নিজাম (৪৫)। নিজামের টানা ৬০ দিনের রিমান্ড শেষে মালদ্বীপ পুলিশ সার্ভিস বিষয়টি নিশ্চিত করে।

এতে আরো বলা হয়েছে, রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হলে নিজাম ফুয়েল বার্জটি নিখোঁজ হওয়ার নাটক সাজানোর চেষ্টা করার কথাও স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।

গতকাল শুক্রবার (৩ মার্চ) স্থানীয় গণমাধ্যম প্রসিকিউটর জেনারেলের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, মালদ্বীপের নাগরিক নিজামের বিরুদ্ধে প্রবাসী বাংলাদেশি লিটনকে হত্যাসহ তিনটি অভিযোগ ফৌজদারি আদালতে দায়ের করা হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, হত্যা পরবর্তী একই বার্জে কর্মরত ক্যাপ্টেন নিজাম সহকর্মী প্রবাসী লিটনের কাছে থাকা ৫১ হাজারের বেশি মালদ্বীভিয়ান রুপিয়া (এমভিআর)  চুরি করেছেন। এছাড়াও প্রসিকিউটরের পক্ষ থেকে আরো জানিয়েছে, রিমান্ড চলাকালীন সময়ে নিজামের ভাড়া করা একটি রুম তল্লাশি করলে তিন দশমিক ২৫৬৫ গ্রাম ডিমরফিন উদ্ধারসহ বার্জ থেকে চুরি করা টাকা দিয়ে মাদক পাচার বা কেনার অভিযোগেও অভিযুক্ত করে নিজামের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। 

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর ফুয়েল বার্জসহ নিখোঁজ হন প্রবাসী বাংলাদেশি মো. লিটন (৩৫) ও ক্যাপ্টেন মো. নিজাম (৪৫)। তাদের উদ্ধারে অভিযান চালিয়ে মালদ্বীপ পুলিশ পর দিন ফুয়েলবাহী বার্জটি এয়ারপোর্টের হুলহুলের নিকটবর্তী সাগরে পাওয়া গেলেও নিখোঁজ দুই ব্যক্তির সন্ধান না পাওয়ায় অধিকতর তদন্ত শুরু করে পুলিশ। একপর্যায়ে, (২ জানুয়ারি) নিজামকে রাজধানী মালের একটি গেস্টহাউস থেকে উদ্ধার করেন। উদ্ধার শেষে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিজামকে সন্দেহজনক হিসেবে লিটন হত্যার অভিযোগে আদালতের আদেশে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। নিখোঁজ হওয়া প্রবাসী বাংলাদেশি মো. লিটনের দেশের বাড়ি জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানাধীন আমানপুর গ্রামে। তিনি মরহুম আফজাল হোসেনের একমাত্র সন্তান। এখন পর্যন্ত প্রবাসী লিটনের মরদেহের সন্ধান মেলেনি।