মালদ্বীপে বাংলাদেশ দূতাবাসে ৭ মার্চ উদযাপন

ওমর ফারুক খোন্দকার (মালদ্বীপ প্রতিনিধি)
প্রকাশ: ০৭ মার্চ ২০২৩, ১৫:১০

মালদ্বীপে ৭ মার্চ উদযাপন। ছবি: মালদ্বীপ প্রতিনিধি
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের সাথে মালদ্বীপের বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ হাইকমিশনার রিয়ার এডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত প্রবাসী ও দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান জানিয়ে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন।
আজ মঙ্গলবার (৭ মার্চ) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টায় মালদ্বীপের বাংলাদেশ দূতাবাসের হলরুমে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা অর্পণ শেষে সকল শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন মিশনের তৃতীয় সচিব চন্দন কুমার সাহা ও মিশনের এডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার (একাউন্টস) মি. শিরিন ফারজানা। পরে স্বাগত বক্তব্যে দিবসটির তাৎপর্য ও ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্বের উপর বিশেষ আলোচনা করেন হাইকমিশনের কাউন্সেলর (শ্রম) ও দূতালয় প্রধান মো. সোহেল পারভেজ। অতঃপর প্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষ হতে বক্তব্য প্রদান করেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও ফুড এন্ড ফুডসের সিও মো. নুরে আলম রিন্টু। এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মালদ্বীপ আওয়ামী লীগের সভাপতি দুলাল মাতবর।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হাইকমিশনার এস এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণই বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ। আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে পরাধীনতার গ্লানি থেকে জাতিকে মুক্ত করে তিনি এনে দিয়েছেন রক্তিম লাল-সবুজের পতাকা খচিত স্বাধীন সার্বভৌম এক বাংলাদেশ। এছাড়াও দিবসটি উদযাপনের মধ্যে দিয়ে প্রবাসে বাংলাদেশ-মালদ্বীপের নতুন প্রজন্ম, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে আরও গভীরভাবে জানতে পারবেন এবং তার আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে সোনার বাংলা বিনির্মাণে অনুপ্রাণিত হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
দূতাবাসের এ আয়োজনের শেষ পর্যায়ে বড় পর্দায় বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের উপর নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পরিবারের সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়।