আরব আমিরাতে বাংলাদেশ মিশনে বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী পালন

মোহাম্মদ ইরফানুল ইসলাম, আরব আমিরাত প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ আগস্ট ২০২৩, ১২:৩১

সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাস ও দুবাই বাংলাদেশ কনসুলেটে যথাযোগ্য মর্যাদায় বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী পালন করে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাস ও দুবাই বাংলাদেশ কনসুলেটে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী পালনের আয়জন করে।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) আবুধাবি দূতাবাসের কনফারেন্স রুমে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে এ জন্মবার্ষিকী পালন করে বাংলাদেশ দূতাবাস।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর বঙ্গমাতার জীবনী আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, তিনি শুধু বাংলাদেশের স্বাধিকার ও স্বাধীনতা আন্দোলন নয় বরং ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধুকে ছায়ার মতো অনুসরণ করেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব থেকে জাতির পিতায় পরিণত হওয়ার পেছনে বঙ্গমাতার ছিল অসামান্য অবদান। ক্ষমতার শীর্ষে আরোহণ করেও তিনি ও তার পরিবার ভোগবাদী জীবনাচার থেকে দূরে থেকে অত্যন্ত সাদামাটা জীবনযাপন করেছেন। যা সুখী-সুন্দর জীবন ও সমাজ গঠনের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ হতে পারে আজকের সমাজের জন্য।
এর আগে দুবাই স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৫ টায় বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে কনস্যুলেট হল রুমে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। এ সময় কনস্যুলেটের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ, বাংলাদেশ বিমান এবং জনতা ব্যাংকের প্রতিনিধি, প্রবাসী বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার স্থানীয় প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন তার বক্তব্যের শুরুতে শোকাবহ আগস্ট মাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের সকল সদস্যসহ শাহাদাত বরণকারী সকল শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর অবদান জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের বিখ্যাত ভাষণের পেছনে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর অনুপ্রেরণা কাজ করেছিল। এমনকি দেশের স্বাধীনতার জন্য বঙ্গমাতা ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনে অভূতপূর্ব ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন যা বিরল।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে জাতির পিতার অনুপুস্থিতিতে বঙ্গমাতা দেশের মুক্তিকামী মানুষের কাছে নির্ভীক মাতৃছায়ার মতো ছিলেন।
এ সময় তিনি প্রবাসে বসবাসরত সকল নারীকে বঙ্গমাতার আদর্শ অনুসরণ করে সামনে এগিয়ে চলার আহবান জানান।
অনুষ্ঠান শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের সকল শহিদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।