ইতালির মিলানে বঙ্গমাতার ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন

ইসমাইল হোসেন স্বপন, ইতালি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ আগস্ট ২০২৩, ১৩:৫৮

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছার ৯৩তম ও বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেছে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল। এ উপলক্ষ্যে মিলানের কনস্যুলেট সভা কক্ষে মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) আলোচনা অনুষ্ঠান ও দোয়া মাহ্ফিল আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে উত্তর ইতালিতে বসবাসরত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রবাসী বাংলাদেশী ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কনসাল জেনারেল জনাব এম জে এইচ জাবেদের নেতৃত্বে কনস্যুলেটের কর্মকর্তা-কর্মচারিসহ উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।
এ সময় ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ তারিখে শাহাদাত বরণকারী বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের প্রতি শোক জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে বক্তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক ধ্যান-ধারণা ও জীবনাদর্শে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছার বিশেষ অবদানকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে তুলে ধরেন।
বক্তারা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় গ্রেফতার অবস্থায় বঙ্গবন্ধুকে সঠিক পরামর্শ দেয়া থেকে শুরু করে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুকে নিজের প্রতি অবিচল থাকতে বঙ্গমাতার ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ও স্বাধীনতা পরবর্তী সময় দলের সাংগঠনিক মনোবল ধরে রাখতে নেতা-কর্মীদের পরিবারের খোঁজ খবর রাখা ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপনেও বঙ্গমাতার অবদান অতুলনীয় বলে উল্লেখ করেন তারা।
আলচনা সভায় কনসাল জেনারেল জনাব এম জে এইচ জাবেদ বলেন যে, বাংলাদেশের সুদীর্ঘ মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে মহীয়সী নারী বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের অবদান অবিস্মরণীয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে বঙ্গমাতার অনন্য অবদান চির উজ্জ্বল হয়ে থাকবে।
এ সময় কনসাল জেনারেল আগামী প্রজন্মের সামনে বঙ্গমাতার জীবনী বিশদভাবে তুলে ধরার বিশেষ প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন।
এদিকে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের আলোচনা প্রসঙ্গে কনসাল জেনারেল উল্লেখ করেন, সংস্কৃতি ও ক্রীড়াঙ্গনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে শেখ কামাল যে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন তা অতুলনীয়। তার জীবনাদর্শ ও নেতৃত্বের গুণাবলি যুবক সম্প্রদায়ের জন্য অনুসরণীয়।
কনসাল জেনারেল বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ, ক্রীড়া ও সংস্কৃতির সংগঠক হিসেবে শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের অবদানের কথাও তুলে ধরেন তার বক্তব্যে।
এসময় তিনি বিশ্ব ক্রীড়া মিলানস্থ এসি মিলান ক্লাব ও বাংলাদেশস্থ আবাহনী ক্লাবের মধ্যে সেতু বন্ধন স্থাপনে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল কার্যালয় কাজ করে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন।
পরে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ও শেখ কামালসহ তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং প্রবাসী বাংলাদেশীসহ দেশবাসীর কল্যাণ কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।