Logo
×

Follow Us

প্রবাস

গ্রিসে থানা হাজতে বাংলাদেশির মৃত্যু

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৩:৩২

গ্রিসে থানা হাজতে বাংলাদেশির মৃত্যু

নিহত খালিস মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে থানা হাজতে এক বাংলাদেশি অভিবাসী মারা যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশের দাবি তিনি আত্মহত্যা করেছেন। নিহত খালিস মিয়ার (২৯) বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলায়। তার পিতার নাম জালাল উদ্দিন।

প্রবাসীদের অভিযোগ, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে এথেন্সের ওমোনিয়া এলাকা থেকে খালিসকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। পরদিন সকালে পুলিশ সেলে তাকে ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। সেখানে আরো ১১ বন্দি ছিল।

ওমোনিয়া পুলিশের দাবি, ওইদিন রাতে নেশাগ্রস্ত এই যুবককে মারামারি করার দায়ে আটক করে সেলে রাখা হয়। পরদিন সকালে পুলিশ সদস্যরা তাকে ফাঁসিতে ঝুলতে দেখেন।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিসের সভাপতি আনোয়ার হোসেন দেওয়ান বলেন, স্থানীয় একজন উকিল এবং কমিউনিটি নেতাদের নিয়ে আমরা থানায় যাই। পুলিশের কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানায়, পাটিয়া ভাথিস এলাকায় মারামারির ঘটনায় খালিসকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।

তিনি বলেন, থানায় ঢোকার পথে খালিস গাড়ির দরজায় লাথি মারে এবং পুলিশের গাড়ির কাচ ভেঙে ফেলে। নেশাগ্রস্ত থাকায় পুলিশ কোন জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াই সরাসরি তাকে হাজতে নিয়ে যায়। পরদিন সকালে কর্তব্যরত পুলিশ তাকে মৃত দেখতে পায়।

এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করেছে এথেন্সে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস এবং অভিবাসন সংস্থাগুলো। এ নিয়ে গ্রিসের বিভিন্ন পত্রিকায়ও পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী থানায় ‘ফাঁস লাগিয়ে বাংলাদেশি অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে’ বলে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।

অভিবাসীর মৃত্যুর ঘটনা এথেন্সের প্রসিকিউটরকে জানানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করে গ্রিসের পুলিশ। এছাড়া একজন মেডিকেল পরীক্ষক এবং ফৌজদারি অধিদপ্তরের একটি ইউনিট ঘটনা তদন্তের জন্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

দেশটির অভিবাসন সংস্থা ‘কেরফার’ পরিচালক এবং এথেন্স মিউনিসিপ্যালিটির কাউন্সিলর পেট্রোস কনস্টান্টিনো বলেন, গ্রিসে বর্তমানে বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশি সহিংসতার মুখোমুখি হচ্ছেন অভিবাসী ও আশ্রয়প্রার্থীরা। বাংলাদেশি খালিস মিয়াকে আটকের মাত্র দেড় ঘণ্টা পর তিনি মারা যান। আমরা মনে করছি, সহিংসতায় তার মৃত্যু হয়েছে।

তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে কনস্টান্টিনো আরও বলেন, পুলিশ প্রথমে বলেছিল, খালিস মিয়া পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করেছে। আমরা সেই গাড়ি দেখতে চাইলে তারা জানায় সে গাড়ির আয়না ভেঙেছে। তার মানে একটি গাড়ির আয়নার জন্য একজন অভিবাসীর প্রাণ চলে গেল?

গ্রিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা রহমান সুমনা বলেন, কর্তৃপক্ষ আমাদের এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। আমরা তাদের কাছে বিস্তারিত জানতে চেয়েছি। দূতাবাসের পক্ষ থেকে নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। পরিবারের সম্মতি মিললে এ ঘটনায় ন্যায়বিচার পেতে আমাদের পক্ষ থেকে একজন আইনজীবী নিয়োগ করা হবে।

এদিকে খালিস মিয়া মৃত্যুর প্রতিবাদে ১২ অক্টোবর বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশি কমিউনিটি ইন গ্রিস, বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ এবং অভিবাসন সংস্থা কেরফাসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫