
ছবি: সংগৃহীত
সৌদি আরব যেতে নতুন নিয়মের মুখোমুখি হতে হচ্ছে শ্রমিকদের। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সৌদি গমনেচ্ছুরা। এক্ষেত্রে কিছুই করার নেই জানিয়ে সৌদি এয়ারলাইন্স বলছে, বিষয়টা দু'দেশের সরকারের। তবে বায়রা বলছে, শুধু যাত্রীরা নয়, এ ধরনের বিধিনিষেধে বড় ধরনের হুমকিতে পড়তে পারে জনশক্তি রফতানি।
এদিকে, আগামী ২৪ মে পর্যন্ত সৌদি আরবগামী সব ফ্লাইট পরিচালনা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। আজ বৃহস্পতিবার (২০ মে) থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। সৌদি কর্তৃপক্ষের হোটেল কোয়ারেন্টিনসহ বিভিন্ন শর্তারোপের কারণে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ২০-২৪ ভ্রমণের জন্য বুকিংকৃত যাত্রীদের তাদের হোটেল বুকিং ও পরবর্তী যাত্রার সময় নির্ধারণের জন্য নিকটবর্তী যেকোনো বিমান অফিসে যোগাযোগের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিমানের জনসংযোগ শাখার উপ মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার বলেন, সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ হোটেল কোয়ারেন্টিনসহ বিভিন্ন শর্তারোপ করায় দেশটিতে এই পাঁচদিন (২০ থেকে ২৪ মে) সব ফ্লাইট পরিচালনা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এদিকে বিমানবন্দর ঘুরে দেখা গেছে, ব্যাগ গুছিয়ে নিজ কর্মস্থলে ফিরছিলেন সৌদি প্রবাসীরা। করোনায় বিধিনিষেধে রাস্তাঘাটের ধকল সয়েই আসেন বিমানবন্দরে। কিন্তু বিমান বন্দরে পৌঁছেই মাথায় হাত তাদের। সৌদি সরকারের নতুন নিয়মে বিমানভাড়ার বাইরেও সাতদিনের কোয়ারেন্টিনে গুনতে হবে ৭০ হাজার টাকা। থাকতে হবে সৌদি সরকার নির্ধারিত হলিডে হোটেলে। এসব শর্ত মেনে বিমানে না চড়লেও বাতিল হবে টিকিট, ফেরত পাবেন না টাকা। এমন সব শর্তে দিশেহারা প্রবাসীরা।
ভুক্তভোগী কয়েকজন প্রবাসী জানান, আমাদেরকে ম্যাসেজ দিলে আমরা আগে থেকে প্রস্তুতি নিতাম। কিন্তু এ সময়ে আমাদের পক্ষে এতগুলো টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। সরকারি নির্দেশনার বাইরে কিছুই করার নেই জানিয়ে, উল্টো প্রবাসীদের উপরই দায় চাপালেন সৌদি এয়ারলাইন্স কর্মকর্তা। সৌদি এয়ারলাইন্সের কাস্টমার রিপ্রেজেন্টেটিভ মো. নাসিম আখতার বলেন, প্রবাসীরা বুকিং দেওয়ার সময়ে সেদেশের ফোন নম্বর দেয়। এজন্য সমস্যাটা হয়েছে। নিম্ন শ্রেণির যারা টিকিট কেটেছিলনে তারা আজকে যেতে না পারলে টিকিট বাতিল।
এ ব্যাপারে বায়রা বলছে, হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তে হুমকিতে পড়বে জনশক্তি রফতানি খাত। বায়রা সাবেক যুগ্ন মহাসচিব অ্যাডভোকেট মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, সৌদি আরবের হোটেল খুবই ব্যায়বহুল। এখানে সাতদিন থাকা-খাওয়ায় একজন কর্মীকে অনেক খরচ করতে হবে।