কর্তৃপক্ষের অনুমতি না পাওয়ায় প্রায় ২০ ঘণ্টা ধরে কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে অপেক্ষা করছেন আফগানিস্তানে আটকে পড়া ১৫ বাংলাদেশি।

তবে আজ বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) একটি বিশেষ ফ্লাইটে চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব উইমেনের ১৬০ জন আফগান শিক্ষার্থীর সাথে তাদের বাংলাদেশে আসার কথা। 

দেশে ফেরার অপেক্ষায় থাকাদেরেএকজন রাজীব বিন ইসলাম আজ সকালে এ তথ্য জানান। পেশায় প্রকৌশলী রাজীব আফগান ওয়্যারলেসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার আমাদের দেশের উদ্দেশে যাত্রার কথা ছিল। কিন্তু আমাদের অনুমতি দেয়া হয়নি বলে কাবুল বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা করেও মাঝপথে ফিরতে হয়েছিল। পরে বিমানবন্দরে এসে জানি, আজ আমাদের জন্য ক্লিয়ারেন্স রয়েছে।

তিনি আরো জানান, তারা স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার (২৫ আগস্ট) বেলা ২টা থেকে কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে অবস্থান করছেন। বিমানবন্দরে ঢোকার জন্য কর্তৃপক্ষের অনুমতির অপেক্ষায় আছেন তারা। জাতিসংঘের উদ্যোগে বিশেষ ফ্লাইটে তাদের দেশে ফেরার কথা।

এর আগে গতকাল রাজীব জানিয়েছিলেন, তারা বিমানবন্দরের পথে যাওয়ার পথে থাকাকালে জানতে পারেন ইউক্রেনের একটি উড়োজাহাজ ছিনতাই হয়েছে। পরে তাদের জানানো হয়েছে, নিরাপত্তার জনিত কারণে ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। 

বিশেষ ফ্লাইটটির সরাসরি চট্টগ্রামে অবতরণ করার কথা রয়েছে বলে জানা গেছে। কারণ চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব উইমেনের ১৬০ শিক্ষার্থী আফগানিস্তানে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন। তালেবান দেশটির ক্ষমতা দখলের পর তারা আটকে পড়েন।

এর আগে গত রবিবার আফগানিস্তানে আটকে পড়া ২৯ বাংলাদেশির মধ্যে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে কর্মরত ফারুক হোসেন ও মহিউদ্দিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর উড়োজাহাজ সি-১৭-এর একটি ফ্লাইটে কাবুল থেকে কাতারে যান। একইদিনে ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের তিন কর্মকর্তাকে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে কাবুল থেকে কাজাখস্তানের রাজধানী নুর সুলতানে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল।

আফগানিস্তানে বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস নেই। উজবেকিস্তানের বাংলাদেশ দূতাবাস সমদূরবর্তী মিশন হিসেবে আফগানিস্তানে কাজ করে থাকে। উজবেকিস্তানে বাংলাদেশের দূতাবাসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত আফগানিস্তানে ২৯ জন বাংলাদেশির আটকে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে পাঁচজন ইতিমধ্যে আফগানিস্তান ত্যাগ করেছেন।