Logo
×

Follow Us

দুর্ঘটনা

তদন্ত প্রতিবেদন

‘কসবায় রেল দুর্ঘটনার জন্য চালকরাই দায়ী’

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০১৯, ২১:৩৫

‘কসবায় রেল দুর্ঘটনার জন্য চালকরাই দায়ী’

উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেন এবং চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার জন্য আন্তনগর ৭৪১ নম্বর তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেস ট্রেনের চালক, সহকারী চালক ও গার্ড দায়ী। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে গঠিত তদন্ত কমিটিগুলোর প্রতিবেদনে এ তথ্য এসেছে।

আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর রেলভবনে মন্দবাগ ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন।

সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘ভয়াবহ ও মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনার কারণ তদন্তে আমরা মোট পাঁচটি কমিটি গঠন করে দিয়েছিলাম। এর মধ্যে তিনটি কমিটির প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। এ প্রতিবেদনগুলোর তথ্য অনুযায়ী আন্তনগর ৭৪১ নম্বর তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেস ট্রেনের চালক (লোকোমাস্টার), সহকারী চালক (লোকোমাস্টার) ও গার্ড দায়ী। তারা সিগন্যালগুলো যথাযথভাবে পর্যবেক্ষণ না করে ট্রেন পরিচালনা করেছিলেন। ফলে ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা ঘটে।’

নুরুল ইসলাম সুজন আরো বলেন, ‘আন্তনগর ৭৪১ নম্বর তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেস ট্রেনটির চালক (লোকোমাস্টার) ছিলেন তাছের উদ্দিন, সহকারী চালক (লোকোমাস্টার) ছিলেন অপু দে ও গার্ডের দায়িত্বে ছিলেন আব্দুর রহমান। তিনটি তদন্ত কিমিটির প্রতিবেদনেই তাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে।’

রেলের মহাপরিচালক মো. শামসুজ্জামান সংবাদ সম্মেলনে জানান, ট্রেনে তিন ধরনের ব্রেক থাকে। এর মধ্যে একটি 'সুপার ইমারজেন্সি ব্রেক'। তা কষে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ট্রেন থামানো যায়। কিন্তু চালক তাসির ও তার সহকারী অপু দে কেউ ব্রেক করেননি। স্টেশনের আউটারের সিগন্যাল, হোম সিগন্যাল অমান্য করার পর ব্রেক করেন চালক। তখন আর কিছু করার ছিল না।

মহাপরিচালক জানান, চালক ঘুমিয়ে ছিলেন না। ঘুমিয়ে থাকলে তিনি স্টেশনে প্রবেশের পর ব্রেক করতে পারতেন না। স্টেশনের আউটারে ট্রেনটির গতি ছিল ঘণ্টায় ৭৭ কিলোমিটার। উদয়ন এপপ্রেসকে ধাক্কা দেওয়ার সময় গতি ছিল ২২ কিলোমিটার। চালক ঘুমন্ত অবস্থায় থাকলে ট্রেনের গতি কমত না।

দুর্ঘটনার পর চালক ও গার্ড জানিয়েছিলেন মাটির স্তুপের কারণে তারা স্টেশনের আউটারের লালবাতি দেখতে পারেননি। রেলমন্ত্রী জানান, এ দাবি সঠিক নয়। তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সংকেত দেখতে না পাওয়ার মতো উচ্চতার মাটির স্তুপ পায়নি। চালক তাসির গ্রেড-১ লোকোমাস্টার। তিনি অভিজ্ঞ চালক। অনভিজ্ঞতার কারণে দুর্ঘটনা ঘটেনি।

গত ১১ নভেম্বর দিবাগত রাত ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেন এবং চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় মোট ১৮ জন নিহত হন। এ ছাড়া আহত হন শতাধিক যাত্রী।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫