
পাথরঘাটার বিস্ফোরণ গ্যাস লাইনের লিকেজের কারণে সংগঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ জেড এম শরীফ হোসেন।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) বিকালে নিজ কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন তুলে ধরেন শরীফ হোসেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনার জন্য ভবনের মালিক দুই ভাই দায়ী। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, পাথরঘাটার বিস্ফোরণের ঘটনায় আমরা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। তদন্তে আমরা রাইজার থেকে গ্রাহকের পাইপ লাইনের অংশে লিকেজের প্রমাণ পেয়েছি। তাই আমরা সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, গ্যাস লাইনের লিকেজের কারণে ১৭ নভেম্বর পাথরঘাটার বড়ুয়া ভবনের নিচতলায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, বিস্ফোরণ ঘটার পেছনে ভবন মালিকের গাফিলতির প্রমাণ পেয়েছি। অনেক দিন ধরে লাইন লিকেজ হয়ে গ্যাস নিঃসরণ হলেও বিষয়টি তারা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেনি।
এর আগে রবিবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ৯টায় পাথরঘাটার ব্রিক ফিল্ড রোডের বড়ুয়া ভবনের নিচ তলায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে এক স্কুল শিক্ষিকাসহ সাত জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১০জন।
ঘটনার পরপরই ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা প্রশাসন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ জেড এম শরীফ হোসেনকে প্রধান করে এই কমিটিতে কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন, ফায়ার সার্ভিসের একজন, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির একজন ও সিটি করপোরেশনের একজন প্রতিনিধিকে সদস্য করা হয়। কমিটিকে ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। পরে এই কমিটিতে আরও দুই সদস্য অর্ন্তভুক্ত করা হয়। তাদের একজন ছিলেন বিস্ফোরক অধিদপ্তর থেকে, অন্যজন ছিলেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি।