দ্বিতীয় মেয়াদে তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট হলেন সাইদ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১৩:২৪

ভোট দিতে স্ত্রী ইশরাফ চেবিলের সঙ্গে দেশটির প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ। ছবি: সংগৃহীত
আরব বসন্তের সূচনাভূমি হিসেবে পরিচিত তিউনিসিয়ায় দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন কাইস সাইদ। ইনডিপেনডেন্ট হাই অথরিটি ফর ইলেকশনস (আইএসআইই) জানিয়েছেন, সাইদ ৯০ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তবে ২০১১ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর এবারই দেশটিতে সবচেয়ে কম সংখ্যক মানুষ ভোট দিয়েছেন।
সোমবার (৮ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আইএসআইই জানিয়েছে, গত রবিবারের নির্বাচনে মোট ভোটারের মাত্র ২৮ দশমিক ৮ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন। দেশটিতে ২০১১ সালের ‘আরব বসন্তের’ পর এটিই সর্বনিম্ন ভোটারের উপস্থিতি।
তবে এর আগে নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র মোহাম্মদ তিলি মানসারি জানিয়েছিলেন, তারা ৩০ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতি আশা করছেন।
চাব পার্টির নেতা জোহাইর মাগজাউই ও আয়াচি জাম্মেলের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন সাঈদ। জাম্মেল পেশায় একজন ব্যবসায়ী। নির্বাচন সংক্রান্ত অপরাধের দায়ে গত মঙ্গলবার তাকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এর আগ পর্যন্ত তাকে সাঈদের পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার পথে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে মনে করা হচ্ছিল।
২০১৯ সাল থেকে দেশটির প্রেসিডেন্টের পদে বহাল আছেন ৬৬ বছর বয়সী সাঈদ। তিনি ক্ষমতায় আসার পর থেকে রাজনৈতিক বিরোধী দল ও অন্যান্য সমালোচকদের ওপর দমনপীড়ন চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
২০২১ সালে নির্বাচিত সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন সংবিধান তৈরি করে সাইদের সরকার। বিরোধীরা তার এই পদক্ষেপকে অভ্যুত্থান বলে অভিহিত করে। তবে সাইদের দাবি, তিনি বিপ্লবের চেতনা ধরে রাখতে দুর্নীতিগ্রস্ত অভিজাত ও বিশ্বাসঘাতকদের বিরুদ্ধে লড়ছেন।
কয়েক দশক ধরে স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের আওতায় ছিল তিউনিসিয়া। এসময় ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতির ঘটনা ঘটে। আরব বসন্ত নামে পরিচিত গণঅভ্যুত্থান ঘটা দেশগুলোর মধ্যে তিউনিসিয়াকে ব্যতিক্রম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ ত্রুটিপূর্ণ হলেও দেশটিতে প্রতিযোগিতামূলক গণতন্ত্র কার্যকর রয়েছে। তবে বিরোধীদের অভিযোগ, ক্রমশ কর্তৃত্ববাদী শাসনের দিকে হাঁটছেন সাইদ। তিনি নিজের ক্ষমতাকে পোক্ত করতে গণতান্ত্রিক ও আইনি প্রতিষ্ঠানগুলোকে অকার্যকর করে তুলছেন।