ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২০, ০২:০৬ পিএম
ইথিওপিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে বন্দুকধারীদের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০৭ জনে দাঁড়িয়েছে। অঞ্চলটিতে সাম্প্রতিক ভয়াবহ ধারাবাহিক হামলার এটি হচ্ছে সর্বশেষ ঘটনা।
গত বুধবার ভোরে দেশটির পশ্চিম বেনিশাঙ্গুল-গুমুজ অঞ্চলের বুলেন কাউন্টির বেকোজি গ্রামে ওই হামলা চালানো হয়।
দেশটির রেডক্রসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত ২০৭ জনের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) রেডক্রসের স্বেচ্ছাসেবী মেলিজ মেসফিন রয়টার্সকে বলেন, গতকাল আমরা ২০৭ জনকে কবর দিয়েছি। এদের মধ্যে ১৫ জন হামলাকারী।
ইথিওপীয় মানবাধিকার কমিশন (ইএইচআরসি) গত বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, বেনিশাঙ্গুল-গুমুজ এলাকায় বন্দুকধারীদের ভয়াবহ হামলায় একশ’র বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। ঘুমন্ত বাসিন্দাদের ওপর এ হামলা চালানো হয়।
বুলেন কাইন্টির মুখপাত্র কাসাহুন আদুসি বলেন, হামলার কারণে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
গোষ্ঠীগত সহিংসতা বন্ধে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ ওই প্রদেশের ভ্রমণের একদিন পর এই নৃশংস ঘটনা ঘটে। হামলার পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে আবি জানান, সেখানে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। ওই গ্রামের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সামরিক বাহিনীর অভিযানে ৪২ অস্ত্রধারী নিহত হয়।
ইথিওপিয়ার মানবাধিকার কমিশন বিবৃতিতে বলেছে, সশস্ত্র ব্যক্তিদের গুলি ও অগ্নিসংযোগে দুই শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে।
কারা এ হামলা চালিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তা স্পষ্ট হওয়া না গেলেও রাজ্য সরকারের মুখপাত্র বিয়েনি মেলেসি এ হামলার জন্য ‘শান্তি বিরোধীদের’ দায়ী করেছেন।
সেপ্টেম্বরের পর থেকে ইথিওপিয়ার বেনিশাঙ্গুল-গুমুজ অঞ্চল অন্তত চারটি প্রাণঘাতী হামলার সাক্ষী হয়েছে। এর মধ্যে নভেম্বরে একটি বাসে বন্দুকধারীদের হামলায় ৩৪ জন নিহত হয়েছিল। - আল জাজিরা ও বিবিসি
ABOUT CONTACT ARCHIVE TERMS POLICY ADVERTISEMENT
প্রধান সম্পাদক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ | প্রকাশক: নাহিদা আকতার জাহেদী
প্রধান সম্পাদক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ
প্রকাশক: নাহিদা আকতার জাহেদী
অনলাইন সম্পাদক: আরশাদ সিদ্দিকী
অনলাইন সম্পাদক: আরশাদ সিদ্দিকী | ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭
© 2021 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh