Logo
×

Follow Us

আফ্রিকা

গাজায় বহুল প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি কার্যকর

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:১২

গাজায় বহুল প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি কার্যকর

যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর ফিলিস্তিনি পতাকা হাতে হাস্যোজ্জ্বল এক শিশু। ছবি: এএফপি

কয়েক ঘণ্টা বিলম্বের পর অবশেষে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বহুল প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। স্থানীয় সময় আজ রোববার বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে (৯টা ১৫ জিএমটি)  যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। যুদ্ধবিরতি চুক্তির অন্যতম মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার এ কথা নিশ্চিত করেছে।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজিদ আল–আনসারি আজ এক বিবৃতিতে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের মধ্যে ওই যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার তথ্য জানান।মুখপাত্র বলেন, ‘গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর আজ ইসরায়েলের কাছে তিন জিম্মিকে তুলে দেওয়া হবে। তাঁরা তিনজনই ইসরায়েলি নাগরিক।’

এদিকে হামাসের সশস্ত্র শাখা ইজ্জেদিন আল–কাসেম বিগ্রেডের মুখপাত্র আবু ওবেইদা বলেন, চুক্তির শর্ত অনুযায়ী আমরা আজ তিনজনকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাঁরা হলেন-রোমি গোনেন (২৪), এমিলি দামারি (২৮) ও দোরোন স্টেইনব্রিচার (৩১)।

এর আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় আজ সকালে তিন ঘণ্টা বিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে বলে ঘোষণা দেয়। 

এই বিলম্বের মধ্যেই সকালে যে সময় থেকে যুদ্ধবিরতি শুরুর কথা ছিল, সেই সময় থেকে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ১০ জন নিহত হয়েছেন। যারমধ্যে ছয়জন গাজা সিটিতে, তিনজন উত্তরাঞ্চলে এবং একজন রাফায় প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ২৫ জন।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এই হামলায় ১ হাজার ২০০ জনের বেশি নিহত হন। জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয় আড়াই শ জনের বেশি মানুষকে। তাঁদের মধ্যে অনেককে মুক্তি দিয়েছে হামাস।

হামাসের হামলার দিন থেকেই গাজায় নির্বিচারে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গাজা কর্তৃপক্ষের হিসাবে, এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৪৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ লাখ ১০ হাজারের বেশি মানুষ। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখো মানুষ।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫