
অমর একুশে বইমেলার আজ শেষদিন। ছবি: সংগৃহীত
অমর একুশে বইমেলার আজ মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) শেষদিন। কাল থেকে বইয়ের পসরা সাজিয়ে আর বসবে না কোন দোকানি। বইপ্রেমী মানুষ আর দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হবে না মেলা প্রাঙ্গণ। প্রাণের এ বইমেলার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও একটি বছর।
করোনার পর এবার মেলার বিক্রি ও লোকসমাগম নিয়ে প্রকাশকরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও গত বছরের তুলনায় এ বছর কমেছে মেলায় বই বিক্রি। গত বছরের বইমেলায় ৫২ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছিল৷ চলতি বছরের অমর একুশে বইমেলায় ৪৭ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে।
আজ বেলা ৩টায় প্রবেশদ্বার উন্মুক্ত হওয়ার আগে থেকেই প্রবেশপথ ও তার আশপাশে জনসমাগম শুরু হয়ে যায়। দ্বার উন্মুক্ত হওয়ার পর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে মানুষের ভিড়। পছন্দের লেখকের বই কিনতে বইপ্রেমীরা ছুটছে এক স্টল থেকে অন্য স্টলে।
ব্যস্ত সময় পার করেছেন প্রকাশকরা। সকল স্টলের বিক্রয়কর্মীদের যেন দম ফেলার সময় নেই। আজ মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অংশের প্রায় প্রতিটি স্টলে রয়েছে বইপ্রেমীদের ভিড়। সবার হাতেই রয়েছে বইয়ের একাধিক ব্যাগ। কথা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রথম দিকে মেলায় এসে বইয়ের ক্যাটালগ সংগ্রহ করেছি। ক্যাটালগ থেকে বাছাই করে ১৫টি বই নিয়েছি।
তাম্রলিপির প্রকাশক একেএম তারিকুল ইসলাম জানান, এবারের মেলা তুলনামূলক অনেক ভালো গেছে। এবারের মেলায় শুরু থেকেই বেচাবিক্রি ও লোকসমাগম ভালো ছিল। মাঝে কয়েকদিন একটু কমে গিয়েছিল। মেলার শেষ বেলায় এসে ভিড় ও বিক্রি দুটোই বেড়েছে।
ইত্যাদি প্রকাশনী স্বত্বাধিকারী আদিত্য অন্তর জানান, এবারের বই মেলা নিয়ে সেভাবে হতাশার কোনো জায়গা ছিল না। সব মিলিয়ে সুন্দর একটি মেলা উপহার দিতে পেরেছে বাংলা একাডেমি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী জানান, একজন বইপ্রেমী হিসেবে সারাবছর মেলার জন্যে আমি অপেক্ষা করে থাকি। যে কদিন মেলা থাকে, সেই কদিনই যেন প্রাণের মধ্যে আনন্দের দোলা লেগে থাকে। আশা করছি আগামী বছরও নতুন আঙ্গিকে সফল একটি আয়োজনের মাধ্যমে এ প্রাণের বই মেলাকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলা হবে।