
সমরেশ মজুমদার। ছবি: সংগৃহীত
মজার মজার স্মৃতি থাকে লেখক, কবি-শিল্পীদের জীবনে। তারা হন আনন্দময় পথের মানুষ। দুঃখও থাকে না তা নয়, সুখ তো থাকে পাশে পাশে। সদ্যপ্রয়াত হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্যের দিকপাল, প্রবীণ থেকে নবীন সকলেরই প্রিয় ‘গর্ভধারিণী’ স্রষ্টা সমরেশ মজুমদার।
লেখক জীবনের বাইরে ব্যাক্তিক জীবনের একটা তফাত অনেক লেখকের থাকে তেমনটি ছিল কি-না সমরেশবাবুর সে কথা এ বঙ্গে বসে বলা বড্ড মুশকিল। সাহিত্যিকদের মধ্যে কারও কারও সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক থাকে, যেমনটি ছিল সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ আর সমরেশ মজুমদারের মধ্যে।
সেই সময়ের একটি ঘটনা তুলে ধরেছেন শোয়াইব আহম্মেদ।
সে বহু বছর আগেকার কথা। সমরেশ তখন একটি কিংবা দুটি গল্পের প্রণেতা। হাতে গোনা দু-একজন লোকে বিশেষ কদরও করেন সে কারণে তাকে। তবে বুদ্ধদেব গুহর সঙ্গে পরিচয় সেই লেখক হওয়ার আগে। সমরেশ তখন ইনকাম ট্যাক্সের চাকরিতে ঢুকেছেন। কোনো একটা ভুল বোঝাবুঝির জন্য রুল ফাইভ ওয়ান ধারায় তার চাকরি যায়, পুলিশে নালিশ উঠেছে। বুদ্ধদেব গুহ ছিলেন ট্যাক্সের নামি উকিল।
সমরেশের চাকরি গেছে শুনেই ইনকাম ট্যাক্স অফিসের কমিশনারের কাছে নিয়ে গেলেন। কমিশনারকে বললেন- এক মাসের সময় দিন, পুলিশ তাদের অভিযোগ ফিরিয়ে নিলে তো আর সমস্যা নেই। কমিশনার সেদিন মেনে নিয়েছিলেন, ফলে বুদ্ধদেবের জন্য সমরেশ মজুমদারকে চাকরি হারাতে হয়নি।