Logo
×

Follow Us

শিল্প-সাহিত্য

দ্য মিউজিয়াম অব লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড

Icon

তাপস্বী রাবেয়া

প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৩, ১৩:০৩

দ্য মিউজিয়াম অব লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড

দ্য মিউজিয়াম অব লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড বইয়ের প্রচ্ছদ। ফাইল ছবি

গল্পটা শুরু হয় দুই কিশোরীর বন্ধুত্ব ভেঙে যাওয়ার মধ্য দিয়ে। এই দুই বন্ধু হলো ভেনেসা এবং বেইলি, গল্পের প্রধান দুই চরিত্র। যদিও উপন্যাস জুড়ে ভেনেসার সরব উপস্থিতি দেখা গেলেও বেইলি চরিত্রটি এক প্রকার বিমূর্তই থেকে যায়। হঠাৎ বন্ধুত্ব ভাঙার আকস্মিকতা বেইলি কাটিয়ে উঠলেও ভেনেসা বিষণ্ন হয়ে পড়ে।

বিষণ্নতা কাটিয়ে উঠতে সে বিভিন্ন কিছু করে; এই যেমন শহরের অপরিচিত রাস্তা ধরে হেঁটে বেড়ানো। এমনি একদিন হাঁটতে গিয়ে সে পরিত্যক্ত একটি দালান আবিষ্কার করে। ভবনের ভেতরের বিভিন্ন প্রত্নবস্তু দেখে সে বুঝতে পারে এটি একটি পরিত্যক্ত জাদুঘর। সময়ের বিবর্তনে হারিয়ে যাওয়া এই জাদুঘরের সাথে ভেনেসা তার নিজের জীবনের মিল খুঁজে পায়।

তাই হারিয়ে যাওয়া বন্ধু বেইলির স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখতে চায় ভেনেসা। বেইলির সাথে সম্পর্কিত ছোট বড় সকল বস্তু জড়ো করে এই পরিত্যক্ত জাদুঘরটিকে নতুন করে সাজাতে থাকে। এর পাশাপাশি আগের নষ্ট হয়ে যাওয়া প্রত্নবস্তুগুলোর ব্যাপারে ভেনেসা ক্রমসই কৌত‚হলী হয়ে ওঠে এবং তাদের পেছনের গল্প খুঁজতে থাকে।

এসব ক্ষয়ে যাওয়া বস্তুর গল্প খুঁজতে গিয়ে ভেনেসা একসময় উপলব্ধি করতে পারে যে সময়ের পরিক্রমায় মানুষ তার নিজের পূর্বাবস্থা থেকে পরিবর্তিত হয়ে একটি নতুন সত্তা তথা নতুন মানুষে পরিণত হয়। আর হারিয়ে যায় নিজের পুরনো সত্তা।

এখানেই ভেনেসার উপলব্ধির মধ্য দিয়ে বইটি ‘দ্য মিউজিয়াম অব লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড’ নামকরণের মর্মার্থ খুঁজে পাবে পাঠক। লেখক লেয়লা সেলসের কিশোর উপন্যাস ‘দ্য মিউজিয়াম অব লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড’ শুধু কিশোর কিশোরী নয় বরং সব বয়সের মানুষের জন্য একটি উৎকৃষ্ট পাঠ্য হতে পারে। 

লেখক: লেয়লা সেলস, প্রকাশক: এমুলেট বুকস

প্রকাশকাল: ১৬ মে, ২০২৩, ভাষা: ইংরেজি


Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫