দুঃসাহসিক, সকলের প্রিয় সেই অভিযাত্রী যিনি পেশায় আবার প্রত্নতাত্ত্বিকও বটে। হারিয়ে যাওয়া সভ্যতা, ইতিহাস, প্রত্নবস্তু খোঁজা যার নেশা। দুর্ধর্ষ সব অন্বেষণের অভিজ্ঞতার উজ্জ্বল সাক্ষী। জর্জ লুকাস রচিত এবং স্টিভেন স্পিলবার্গ পরিচালিত চার পর্বের ধারাবাহিক সিনেমার কালজয়ী চরিত্র ইন্ডিয়ানা জোনস বা ইন্ডি যার মাথায় থাকে ফেডোরা জ্যাকেট, গায়ে চামড়ার জ্যাকেট, হাতে বুলউইপ।

তারই ধারাবাহিকতায় পঞ্চম ও শেষ পর্ব ‘ইন্ডিয়ানা জোনস অ্যান্ড ডায়াল অব ডেস্টিনি’ নির্মিত হলেও এই সিনেমার রচনায় জেজ বাটারওর্থ, জন হেনরি প্রমুখ এবং পরিচালনায় ছিলেন জেমস ম্যানগোল্ড। পাঁচ পর্বের ধারাবাহিক সিনেমার এই পর্বে বিখ্যাত চরিত্র ড. হেনরি ওয়াল্টন তথা ইন্ডিয়ানা জোনসকে দেখা যাবে এক নতুন আঙ্গিকে।

১৯৬৯ সালে আমেরিকা এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের মহাকাশ অভিযানে যেই দ্বাদ্বিককতার সূত্রপাত ঘটে তারই প্রেক্ষাপটে নির্মিত হয় সিনেমাটি। সিনেমার শুরুতে দেখা যায় ইন্ডিয়ানা জোনস তথা ইন্ডিকে দুর্বোধ্য এক গোপন বার্তা পাঠায় তারই সহকর্মী ড. এমেলিয়া চার্টার। সেই সূত্র ধরেই জোনস বেরিয়ে পড়ে অন্বেষণে যা তাকে টেনে নিয়ে যায় মিশরের ধু-ধু মরুভূমি থেকে দক্ষিণ আমেরিকার ঘন জঙ্গল পর্যন্ত। তার সাথে যোগ দেয় আরেকজন মেধাবী, দক্ষ প্রত্নতাত্ত্বিক, মায়া।

তারা খুঁজে পায় এমনি এক প্রত্নবস্তু যা সময়কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, রথ বদলে দিতে পারে যে কোনো ঐতিহাসিক ঘটনার। এই চমকপ্রদ বিশেষ প্রত্নবস্তুর কথা চাপা থাকে না। সিনেমার এই পর্যায়ে এসে দেখা যাবে নতুন এক মোড়। লর্ড রেভেনস্ক্রস্ট, ক্ষমতাধর, বিজ্ঞানী এবং গোপন এক সংগঠনের নেতা স্থানীয় ব্যক্তি। যিনি সেই বিশেষ ধরনের প্রত্নবস্তু ‘অ্যান্টিকেথরা’ বা ‘ডায়াল অব ডেস্টিনি’ নিজের অধিকার পেতে উদগ্রীব হয়ে ওঠেন, হাসিল করতে চান ব্যক্তিগত স্বার্থ। কিন্তু সেই পর্যন্ত এই বিশেষ প্রত্নবস্তু কার দখলে যায়? জোনস কি পারে অপশক্তির হাত থেকে অতীত ইতিহাস, ঐতিহ্যের ধারক-বাহক প্রত্নবস্তুকে সংরক্ষণ করতে?

এসব প্রশ্নের উত্তর জানা যাবে সিনেমাটিতে। বরাবরের মতো জোনস চরিত্রে অভিনয় করেছেন হ্যারিসন ফোর্ড। এছাড়াও রয়েছেন ফিবি ওয়ালার-ব্রিজ, অ্যান্টেনিও ব্যান্ডেরাসসহ আরও অনেকেই। ইন্ডিয়ানা জোনস ধারাবাহিকের সব থেকে ব্যয়বহুল এই সিনেমাটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে আগামী ৩০ জুন।

সিনেমা: ইন্ডিয়ানা জোনস অ্যান্ড ডায়াল অব ডেস্টিনি

পরিচালক: জেমস ম্যানগোল্ড

পরিবেশনা: ওয়াল্ট ডিজনি পিকচার্স লিমিটেড

রানিং টাইম: ১৫৪ মিনিট

ভাষা: ইংরেজি

বাজেট: ২৯৫ মিলিয়ন ডলার

মুক্তি: ৩০ জুন, ২০২৩